লিটন-মিরাজে প্রতিরোধ
১৩৮ রানেই ৬ উইকেট হারানো দলকে পথ দেখানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন লিটন কুমার দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় সেশনের কিছুটা সময় পার করা এ দুজন তৃতীয় সেশনে সাবধানী শুরু করেছেন। তাদের ব্যাটে ৫২ ওভার শেষে ৬ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৬০ রান। লিটন ৩৫ ও মিরাজ ৫ রানে ব্যাটিং করছেন।
এর আগে সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে ইনিংসের শুরু দেখে মনে হয়েছিল প্রথম টেস্টের ট্রমা থেকে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে তামিমকে দারুণ সাবলীল দেখিয়েছে। জয় থিতু হতে না পারলেও মানিয়ে নিচ্ছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত পারেননি তরুণ এই ব্যাটসম্যান। দলীয় ৪১ রানে অভিষিক্ত অ্যান্ডারসন ফিলিপের বলে উপড়ে যায় তার স্টাম্প, ১০ রান করেন তিনি।
দারুণ খেলতে থাকা তামিম অনেক বাইরের বল খেলতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় পাঁকান। আলজারি জোসেফের বলে ব্যাট চালালে জার্মেইন ব্ল্যাকউডের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ফেরার আগে ৬৭ বলে ৯টি চারে ৪৬ রান করেন অভিজ্ঞ এই ওপেনার।
তৃতীয় উইকেটে জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত ও ৮ বছর পর টেস্ট খেলতে নামা এনামুল হক বিজয়। চাপ সামলে ভালোই খেলছিলেন এ দুজন। তাদের ৩৯ রানের জুটি ভাঙে বিজয়ের বিদায়ে। ফুট ওয়ার্কের দীনতায় ফিলিপের বলে এলবিডব্লিউ হন ৩৩ বলে ২৩ রান করা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
এরপর শান্তও আর টিকতে পারেননি। পরের ওভারেই কাইল মেয়ার্সের শিকারে পরিণত হন তিনি। মেয়ার্সের দারুণ এক লেংন্থ বলে এলবিডব্লিউ হন ২৬ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দ্রুত রান তুলে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেও পারেননি। জেডেন সিলসের বলে এনসাইড এজে বোল্ড হন তিনি।
এরপর নুরুল হাসান সোহানও থামেন। আলজারি জোসেফের লেগ স্টাম্প বরাবর বাউন্সারে অহেতুক ব্যাট চালিয়ে নিজের উইকেটটি বিলিয়ে দিয়ে আসেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। আগের টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করা সোহান এদিন ৭ রান করে বিদায় নেন।