সাকিবকে নিয়েও অপেক্ষায় বিসিবি
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এখন সিলেটে, মাঠে অনুশীলনে ব্যস্ত দলগুলো। কিন্তু বুধবার মাঠের বদলে সংবাদকর্মীরা ভিড় জমালেন ফরচুন বরিশালের টিম হোটেলে। উপলক্ষ্য তামিম ইকবাল ও তার জাতীয় দলে ফেরার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানা। বিসিবির তিন নির্বাচকের সঙ্গে দুই দফায় বৈঠকের পরও অবশ্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাননি তামিম। বিষয়টি নিয়ে ভাবতে সময় চেয়েছেন তিনি।
তামিমকে নিয়ে কথা বলার সময় সাকিব আল হাসানের বিষয়েও প্রশ্ন শুনতে হয় বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে। তামিমের সিদ্ধান্ত জানার অপেক্ষায় থাকা প্রধান নির্বাচক সাকিবের ব্যাপারেও পরিষ্কার কোনো তথ্য দিতে পারেননি। বিসিবি থেকে নির্বাচক কমিটিকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। গাজী আশরাফ জানিয়েছেন, অপেক্ষা করতে হবে।
ঘরের মাঠে শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছার কথা জানিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে টেস্ট থেকে বিদায়ের ঘোষণা দেন সাকিব। সে সময় তিনি জানান, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে যাবেন। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দেশে এসে শেষ টেস্ট খেলতে পারেননি অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। আগামী মাসে শুরু হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও তার খেলা নিশ্চিত নয়।
কদিন আগে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানান, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মিশনে সাকিবের খেলা নিশ্চিত করতে আরেক দফায় চেষ্টা করবেন তিনি। তবে সাকিবকে খেলানোর সিদ্ধান্ত শুধু যে শুধু বোর্ডের নয়, সেটাও জানান ফারুক। সরকারের পক্ষ থেকেও আসতে হবে সবুজ সঙ্কেত।
এর বাইরেও আছে অনিশ্চয়তা, যা সাকিবকেই দূর করতে হবে। কাউন্টি ক্রিকেট খেলার সময় ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ইংল্যান্ডে বোলিং পরীক্ষা দিয়ে উতরাতে না পারায় নিষিদ্ধ হন বোলার সাকিব। এরপর চেন্নাইয়ে পরীক্ষা দিয়েও অভিযোগমুক্ত হতে পারেননি বাঁহাতি এই স্পিনার। চেন্নাইয়েই আরেকবার পরীক্ষা দিয়েছেন, আছেন ফলের অপেক্ষায়।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিবের খেলানোর প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক বলেন, 'সাকিবের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা আসেনি। প্রথম যে পরীক্ষা দিলেন, সেখানে তিনি উত্তীর্ণ হতে পারেননি, ভেরি শকিং। আমাকে নিশ্চিত হতে হবে, তিনি ব্যক্তি পর্যায়ে আবার একটা পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছেন কিনা… এটা একটু খোঁজ নিয়ে জানতে হবে।'
আগামী ১২ জানুয়ারির মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণা করতে হবে। এর আগে বোলিং পরীক্ষায় উতরে গেলে সাকিবের খেলার সম্ভাবনা বাড়বে। এরপরও যে জটিলতা থেকে যাবে, প্রধান নির্বাচকের বক্তব্যে সেটা পরিষ্কার, 'এটা আসলে আমরা নির্বাচক মন্ডলীরা বোর্ডের কাছ থেকে জানতে চেয়েছি যে তিনি আমাদের এ প্রক্রিয়ার জন্য অ্যাভেইলঅ্যাবল আছেন কি না। সেটা এখনও আমরা উত্তর পুরোপুরি পাইনি। আংশিক একটা পেয়েছি।'
'যেহেতু আবার শোনা যাচ্ছে তিনি একটা অংশগ্রহণ করেছেন (বোলিং পরীক্ষায়)। সেটার জন্যও অপেক্ষা করতে হবে। প্রতিটি মিনিটই হয়তো গুরুত্বপূর্ণ, আশা করি এক-দুই দিনের মধ্যে পরিষ্কার হয়ে যাবে বিষয়গুলো।' যোগ করেন গাজী আশরাফ।