অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন: গরিব দেশের ভরসা
কোভিড-১৯-এর দাপটে দীর্ঘদিন ধরেই কাবু পৃথিবীর মানুষ। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের কাছ থেকে সুরক্ষা পাওয়ার ভ্যাকসিন কবে আসবে, সেদিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রয়েছে বিশ্ববাসী।
ভ্যাকসিনের দৌড় বেশ কয়েক মাস ধরেই জোরেশোরে চলছে। কয়েকটি সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের চলছে চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালও। এরইমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে উঠেছে, ভ্যাকসিনের দরদাম। এ নিয়েও চলছে জোর আলোচনা।
স্বাস্থ্য পরামর্শকদের ধারণা, প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনের দাম ৩ থেকে ৩০ ডলারেরও বেশি হতে পারে। দাম যেন গরিব দেশগুলোর সাধ্যের মধ্যে থাকে, এ নিয়ে বিল গেটস-সহ জনস্বাস্থ্য অ্যাডভোকেটরা বেশ সরব।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই ভ্যাকসিন দৌড়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে অ্যাস্ট্রা-অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন। সম্ভাব্য এই ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে।
অ্যাস্ট্রা-অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের ওপর ভরসা করার অন্যতম প্রধান কারণ এটির প্রাথমিক দাম। অ্যাস্ট্রা জানিয়েছে, মহামারিকালে তারা মুনাফা করবে না। তাই প্রতি ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দাম ৪ থেকে ৫ ডলার বা প্রায় ৩৪০ থেকে ৪২৫ টাকার মধ্যে রাখবে।
সংকট বিবেচনায় এই কোম্পানিসহ অন্যরা ডোজপ্রতি ভ্যাকসিনের দাম শেষ পর্যন্ত কত করে নেবে, এ নিয়ে অবশ্য স্বাস্থ্য পরামর্শকদের মনে উৎকণ্ঠা রয়েছে।
এর আগে, জুলাইয়ে ফাইজার ও বায়োটেকের ভ্যাকসিন প্রতি ডোজ ১৯.৫০ ডলার বা প্রতি দুই-শট ইমুনাইজেশন ৩৯ ডলারে কেনার ব্যাপারে সম্মত হয় যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, অর্ডারের ওপর নির্ভর করে মডার্নার ভ্যাকসিনের দাম ডোজপ্রতি ২৫ থেকে ৩৭ ডলারের মধ্যে পড়বে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী স্টিফেন ব্যানসেন।
সব মিলিয়ে, অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনই ভরসা হয়ে উঠতে পারে গরিব দেশগুলোর জন্য।