ব্যাংকার্স ক্রিকেটে সাবেক ক্রিকেটারদের মিলনমেলা
ব্যাংকারদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। মজা, বিনোদনই এখানে বেশি থাকার কথা। কিন্তু মাঠে অন্য চিত্র । পুরো পেশাদার মনোভাব। প্রতিপক্ষকে হারাতে যা করা দরকার, সবটাই করতে প্রস্তুত একেকটা ব্যাংক। ক্রিকেটারদের অনুশীলন করাতে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের সাবেক পেসার মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল।
সবচেয়ে তারকা সমৃদ্ধ কোচিং স্টাফ ছিল ব্যাংক এশিয়ার। এই দলে এক ঝাঁক জাতীয় দলের ক্রিকেটার কাজ করেছেন। ব্যাংক এশিয়ার কোচিং স্টাফ হিসেবে কাজ করেছেন মোশাররফ হোসেন রুবেল, জহুরুল ইসলাম অমি, সোহরাওয়াদী শুভ, জিয়াউর রহমানরা। ব্যাংকার্স চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফিতে অধিনায়ক ও কোচ হিসেবে খেলেছেন বাংলাদেশের সাবেক পেসার তারেক আজিজ খান।
কেবল কোচিং স্টাফই নন, ব্যাংকগুলোর হয়ে খেলেছেন বাংলাদেশ বেশ কয়েকজন সাবেক ক্রিকেটার। এদের মধ্যে কেউ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন, আবার কেউ লম্বা সময় ধরে খেলেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের টুর্নামেন্টগুলোয়।
সাবেক বাঁহাতি পেসার মাহমুদুল হাসার রানা বর্তমানে ইস্টার্ন ব্যাংকে কর্মরত আছেন। এই টুর্নামেন্ট দিয়ে মাঠে নেমেছিলেন বাংলাদেশের হয়ে একটি টেস্ট খেলা বাঁহাতি এই পেসার। সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে তার বোলিং স্টাইল। মাহমুদুল ছিলেন বাঁহাতি পেসার। পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে পেস বোলিংই করেছেন তিনি। কিন্তু ব্যাংকার্সদের ক্রিকেটে স্পিনার হিসেবে দেখা গেছে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জেতা মাহমুদুল হাসানকে। শনিবার গুলশান ইয়ুথ ক্লাবে ব্যাংকার্স চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফির ফাইনালে স্পিন ঘূর্ণিতে ১৭ রান খরচায় ৫টি উইকেট নেন তিনি।
মাহমুদুল হাসান, তারেক আজিজ খানের মতো বাংলাদেশের আরও কয়েকজন সাবেক ক্রিকেটার ব্যাংকারদের এই টুর্নামেন্ট দিয়ে ক্রিকেটে ফিরেছিলেন।
বিভিন্ন ব্যাংকে কর্মরত থাকা সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্য থেকে দেখা মিলেছে শাফায়েত কিরণ, শাহনাজ কবীর শুভ্র, আনিসুল হাকিম, শেখ ফরিদদের। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের এক সময়ের পরিচিত এই মুখগুলো ব্যাংকার্স ক্রিকেটে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের হয়ে খেলেছেন। মাহমুদুল হাসান রানার দল ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটিডের হয়ে খেলেছেন আরেক সাবেক ক্রিকেটার সাব্বির খান।
এতো সাবেক ক্রিকেটারদের মাঝেও আলো ছড়িয়েছেন চ্যাম্পিয়ন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের ব্যাটসম্যান আমান। ২৭ বলে ৪টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৬১ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলেন। এ বছরই স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডে যোগ দেওয়া আমান বলেন, 'পুরো টুর্নামেন্টটা দারুণ ছিল। আমি আগেও কর্পোরেট লিগ খেলেছি। ক্রিকেটের প্রতি একটা টান ছিল। এ কারণেই আসলে খেলা।'
আমান আরও বলেন, 'এমন আয়োজনের টুর্নামেন্টের ফাইনালে ম্যাচ সেরা হওয়া সত্যিই দারুণ অনুভূতির ব্যাপার। এই টুর্নামেন্ট দেখে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হতে পারে। এতে যেমন চাকুরজীবিদের একটা বিনোদন হয় আবার ক্রিকেটটাও খেলা হয়। দারুণ একটা টুর্নামেন্ট শেষ করলাম।'