চট্টগ্রামে জঙ্গিবাদ ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতামূলক র্যালি ও পথসভা
সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এবং উদীয়মান পাকিস্তানী দালালদের প্রতিহত করতে এক জনসচেতনতামূলক র্যালি ও পথসভার আয়োজন করেছে সচেতন নাগরিক সমাজ বাংলাদেশ।
২৬ নভেম্বর বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত পথসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা শাহাদাত হোসেন। মোহাম্মদ মীর হোসেন এর সভাপতিত্বে উক্ত পথসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলার যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, রাজীব ধর, সদস্য সচিব আব্দুল মনসুর, সদস্য সুমন বিশ্বাস, মাওলানা জুবায়দ হোসেন প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদের মদদপুষ্ট সন্ত্রাস বাংলাদেশের দিন দিন যেভাবে বেড়ে চলছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বাংলাদেশের জন্ম লগ্ন থেকেই পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের ষড়যন্ত্র ও আক্রমণের শিকার। যার ধারাবাহিকতায় ক্রিকেট সিরিজের সময় স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানের পতাকা তুলে পাকিস্তান এই বাংলার মাটিতে তাদের অবস্থানের জানান দেয়, যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের অপমান স্বাধীনতার অপমান। এই ঘটনার মাধ্যমে পাকিস্তান আমাদের ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তারা আরো বড় ও ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে একাত্তরের পরাজিত রাজাকার আল বদরের উত্তরসুরিরা। যারা অতীতে ২০০৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি একত্রে সাতটি বোমা বিস্ফোরণ, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৫০টি শহরের ৩০০ স্থানে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা ২০১৬ সালে হোলি আর্টিজেনের জঙ্গি হামলাসহ বহু হামলা ঘটিয়েছে।
তারা আরও বলেন, সম্প্রতি ঢাকার সিজিএম আদালতের সামনে থেকে জঙ্গি ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা আমাদের নিরাপত্তা কে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিমুক্ত দেশ গঠন করার জন্য প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। কিন্তু প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে সেই পাকিস্তানি প্রেতারা দেশপ্রেমিকের মুখোশ পরে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে, এদেরকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা এবং এর পিছনে আর্থিক ও যাবতীয় মদদ বন্ধ করতে না পারলে পুরোপুরি সন্ত্রাস নির্মূল অসম্ভব।
২০১৫ সালে দুইবার পাকিস্তান হাইকমিশনারের কর্মকর্তা দ্বারা জঙ্গিবাদের অর্থ সহযোগিতার প্রমাণের কথা উল্লেখ করে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা স্বার্থে বাংলাদেশে পাকিস্তান দূতাবাস বন্ধ করা এবং পাকিস্তানকে কড়া হুশিয়ারি প্রদান করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান বক্তারা।