কয়লা চুরি: বড়পুকুরিয়া খনির সাবেক ৭ এমডিসহ ২৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা চুরির ঘটনায় মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে খনির সাবেক সাত ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ২৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আজিজ আহমদ ভুঞা এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দিনাজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের মামলা পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারি কৌঁসুলি আমিনুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০০৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ দশমিক ৯২ মেট্রিক টন কয়লা চুরি হয়। যার আনুমানিক মূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকা ৮৪ পয়সা।
অভিযোগপত্রে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি প্রকল্পের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুর রহমান, আব্দুল আজিজ খান, প্রকৌশলী খুরশিদ আলম, প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, মো. আনিসুজ্জামান, প্রকৌশলী এসএম নুরুল আওরঙ্গজেব ও প্রকৌশলী হাবিব উদ্দীন আহমেদের নাম রয়েছে।
এছাড়াও আসামির তালিকায় আছেন সাবেক মহাব্যবস্থাপক (জিএম) শরিফুল আলম, আবুল কাশেম প্রধানিয়া ও আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী, ব্যবস্থাপক মাসুদুর রহমান হাওলাদা, আরিফুর রহমান ও সৈয়দ ইমাম হাসান, উপ-ব্যবস্থাপক খলিলুর রহমান, মো. মোর্শেদুজ্জামান, হাবিবুর রহমান ও জাহিদুর রহমান, সহকারী ব্যবস্থাপক সত্যেন্দ্র নাথ বর্মণ ও মো. মনিরুজ্জামান, কোল হ্যান্ডেলিং ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপক সোহেবুর রহমান ও অশোক কুমার হাওলাদার, উপ-মহাব্যবস্থাপক একেএম খাদেমুল ইসলাম ও জোবায়ের আলী।
কয়লার অভাবে কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেলে বিষয়টি সামনে আসে এবং এ ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আনিসুর রহমান বাদী হয়ে গত বছরের ২৪ জুলাই পার্বতীপুর থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটি দুদকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুদকের উপ-পরিচালক সামসুল আলম মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে ২৪ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।