চট্টগ্রামে ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে ৫ তফসিলি ব্যাংক
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এলাকায় তফসিলিভুক্ত ৫টি ব্যাংক চসিকের ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাংলাদেশ গেজেট অতিরিক্ত সংখ্যা ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি টেবিল ২ (ক) এবং ১৬৬ অনুসারে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা ও এটিএম বুথ সিটি করপোরেশনের প্রদত্ত ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক হলেও তফসিলিভুক্ত কোনো ব্যাংকই লাইসেন্স গ্রহণ করেনি। ফলে এই খাত থেকে চসিক প্রতি বছর রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে।
সিটি করপোরেশন এলাকার সব শাখাকে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করার জন্য তফসিলিভুক্ত সোনালী, রূপালী, পূবালী, জনতা, উত্তরা, বেসিক এবং অগ্রণী ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে চসিক।
চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'তফসিলি ব্যাংকগুলো চসিকের লাইসেন্স নিতে বাধ্য। ট্রেড লাইসেন্স নিতে ১ সপ্তাহ আগে সংশ্লিষ্ট সকল তফসিলিভুক্ত ব্যাংককে চিঠি দিয়েছি। এর মধ্যে রূপালী এবং অগ্রণী ব্যাংক লাইসেন্স গ্রহণ করেছে।'
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় তফসিলিভুক্ত ব্যাংকের কয়টি শাখা এবং এটিম বুথ রয়েছে, তার পরিসংখ্যান সিটি করপোরেশনের কাছে নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ব্যাংকগুলো ট্রেড লাইসেন্স নিলে সঠিক সংখ্যা জানা যাবে।'
চসিক সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার বেসরকারি ব্যাংকগুলো ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করলেও তফসিলি ব্যাংকগুলোকে বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও তারা লাইসেন্স গ্রহণ করেনি। তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ফি ১০ হাজার টাকা।
পূবালী ব্যাংক চট্টগ্রাম অঞ্চলের জেনারেল ম্যনেজার নরেশ চন্দ্র বসাক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণের জন্য ১ সপ্তাহ আগে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য আমরা প্রধান কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছি।'
তিনি আরও বলেন, 'চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় পূবালী ব্যাংকের ১৬ টি শাখা ও ৪টি এটিএম বুথ রয়েছে।'
সোনালী ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'ট্রেড লাইসেন্স নিতে চসিকের দেওয়া চিঠি পেয়েছি। লাইসেন্স নিতে সংশ্লিষ্ট শাখায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।'