দ্রুত আমদানি পণ্যের কন্টেইনার ডেলিভারি নেওয়ার তাগিদ চট্টগ্রাম বন্দরের
চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ড এবং বেসরকারি অফডক থেকে দ্রুত আমদানি পণ্যের কন্টেইনার ডেলিভারি নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
শুক্র, শনি, রবি ও সরকারি ছুটির দিনেও যাতে অন্যান্য দিনের মতো (২৪/৭) কন্টেইনার ডেলিভারি নেওয়া হয় এই লক্ষ্যে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতির প্রতি আহবান জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (৯ আগস্ট) চেম্বার সভাপতিকে চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল ম্যানেজার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেওয়া হয়।
এতে পণ্যের সাপ্লাই চেইন নিরবিচ্ছিন্ন রাখা এবং চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম গতিশীল ও স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য, শিল্পের কাঁচামাল, ফ্রোজেন ফুড এর এফসিএল (ফুল কন্টেইনার লোড) কন্টেইনার কার্গোসহ সকল ধরনের আমদানি পণ্য দ্রুত ডেলিভারি নিতে অনুরোধ করা হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, অফডকসমূহে অনুমোদিত পণ্যের অতিরিক্ত পণ্য সাময়িকভাবে সংরক্ষণ ও আনস্টাফিং করতে এবং উক্ত অফডকসমূহ হতে খালাসের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যবাহিত কন্টেইনার চট্টগ্রামে অবস্থিত অফডকসমূহে সাময়িকভাবে সংরক্ষণ ও আনস্টাফিং করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর এবং অফডকসমূহে স্থিত আমদানিকৃত কন্টেইনার দ্রুত ডেলিভারি গ্রহণ করা প্রয়োজন। এতে চট্টগ্রাম বন্দর এবং অফডকসমূহে আমদানি রপ্তানি পণ্যবাহিত কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং কার্যক্রমে স্থিতিশীলতা অব্যাহত থাকবে।
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি বলেন, "আমদানি পণ্য দ্রুত ডেলিভারি নেওয়ার কোন বিকল্প নেই। বন্দরের জট এড়াতে সকল আমদানিকারকদের অনুরোধ করবো দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন পণ্য ডেলিভারি নেওয়া হয়"।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, বন্দরের ইয়ার্ডে কন্টেইনার রাখার সক্ষমতা ৪৯,০১৮ টিইইউস (টুয়েন্টি ফিট ইকুইভিলেন্ট ইউনিট)। গত ৭ আগস্ট পর্যন্ত বন্দরের ইয়ার্ডে কন্টেইনার ছিলো ৩৯,৫২০ টিইইউস।
১৯টি বেসরকারি অফডকে কন্টেইনার রাখার সক্ষমতা ৭৬,২৫৫ টিইইউস। ৮ আগস্ট পর্যন্ত আমদানি, রপ্তানি ও খালি কন্টেইনার ছিলো এর মধ্যে ৬১,৩৮৯ টিইইউস। এর মধ্যে আমদানি কন্টেইনার ছিলো ১৪,৬৬৭ টিইইউস।