আর্থিক খাতের দুর্বলতা ও শ্রমিক অসন্তোষ স্বল্প মেয়াদে ঝুঁকির উৎস: প্রধান উপদেষ্টাকে অর্থ মন্ত্রণালয়
![](https://www.tbsnews.net/bangla/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2025/02/10/p1_lead-info-2nd-edi_1.jpg)
অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য আর্থিক খাতের দুর্বলতা এবং শ্রমিক অসন্তোষ স্বল্প মেয়াদে অন্যতম ঝুঁকির উৎস হতে পারে বলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দেওয়া এক প্রেজেন্টেশনে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের উপস্থাপন করা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং ঘনীভূত হওয়ার পূর্বেই শ্রমিক অসন্তোষ প্রশমিত করা অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করা প্রয়োজন।'
এদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যানুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪.২২ শতাংশ, যা চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
গত বছরের মে মাসে পূর্বাভাস দেওয়া ৫.৮২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির চেয়ে এ হার ১.৬ শতাংশ কম। এর আগের সর্বনিম্ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ২০১৯-২০ অর্থবছরে, ৩.৪৫ শতাংশ; করোনা মহামারির কারণে সেবার প্রবৃদ্ধি এত কম ছিল।
গতকাল প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এক সংবাদ সম্মেলনের পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, বিবিএসের সর্বশেষ সংশোধনীটি আনুষ্ঠানিকভাবে ড. ইউনূসের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে।
জিডিপিতে সংশোধনের ফলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৩৮ ডলার, যা প্রাথমিক প্রাক্কলন ২ হাজার ৭৮৪ ডলারের চেয়ে কম।
'বাংলাদেশের অর্থনীতি: সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ করণীয়' শিরোনামের প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি, সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ এবং সরকারের করণীয় তুলে ধরা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিদ্যমান থাকায় বর্তমানে বিদ্যুৎ ও সারের ক্ষেত্রে মূল্য সমন্বয় করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা ছিল প্রধান চ্যালেঞ্জ, যা জানুয়ারি মাসে সম্ভব হয়েছে। আগামী জুন শেষে মূল্যস্ফীতির হার ৮ শতাংশের ঘরে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে মূল্যস্ফীতির হার ৬.৫ শতাংশের নিচে নামলে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে ভর্তুকি কমানোর উদ্যোগ নেবে সরকার।
'২০২৪ সালের আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে স্বল্পমেয়াদে অর্থনীতি কিছুটা প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলেও ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের সুচিন্তিত মুদ্রানীতি এবং রাজস্বনীতির ফলে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে,' বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।
'আমদানিজনিত কারণে মূল্যস্ফীতির সম্ভাবনা কম' উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধান আমদানি উৎস দেশ চীন ও ভারতে মূল্যস্ফীতি ৪ শতাংশের কম এবং বর্তমানে টাকার বিনিময় হার কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে।
উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতির জন্য সরবরাহ চেইনের দুর্বলতাকে দায়ী করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
দ্রুত সরবরাহ ব্যবস্থায় বিদ্যমান ত্রুটি নিরসন করা সম্ভব হলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ফের অর্থনীতিতে গতি ফিরে আসবে বলে ড. ইউনূসকে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।
অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধে প্রতিযোগিতা কমিশনকে শক্তিশালী করার সুপারিশ করে অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রয়োজনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এর কার্যক্রম সম্প্রসারণ করার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে।
কৃষি উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজনীয় সার, বীজ ও পরামর্শ সেবা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতির আওতায় চাহিদা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলেও সরবরাহ ব্যবস্থায় বিদ্যমান ত্রুটির কারণে তা ব্যাহত হচ্ছে। পণ্য সরবরাহ চেইনের সব স্তরের প্রতিবন্ধকতা কঠোরভাবে প্রতিহত করতে ডেমোনস্ট্রেশন ইফেক্ট হিসেবে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে আগামী এক মাসে বিশেষ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে সরকার।
এছাড়াও হিমাগারসহ সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের গুদাম নিবিড় পরিবীক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ খাতে বকেয়া ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনতে চলতি অর্থবছরে ভর্তুকির পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে সংশোধিত বাজেটে ৬২ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনার মাধ্যমে ভর্তুকি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে চলতি অর্থবছরে মোট ১১ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে, যা এ খাতে মোট ব্যয়ের প্রায় ১০ শতাংশ।
বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনার জন্য ইতোপূর্বে সম্পাদিত চুক্তিতে বিদ্যুতের ক্রয়মূল্য পুনর্বিবেচনা এবং এনার্জি অডিট বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।
গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে উৎপাদন বণ্টন চুক্তি সম্পাদনের জন্য পুনরায় বিডিং রাউন্ড পরিচালনা করা এবং বিদ্যুতের উৎস হিসেবে তেলভিত্তিক জ্বালানির পরিবর্তে গ্যাসভিত্তিক জ্বালানি ব্যবহার বাড়িয়ে বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় কমানোর পরিকল্পনার কথা তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।
এছাড়া জ্বালানি তেলের সংরক্ষণ ও পরিশোধনের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং জ্বালানি-সাশ্রয়ী আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর বৈদ্যুতিক গাড়ি ও যন্ত্র ব্যবহারে উৎসাহিত করার পরামর্শ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত সরকারের সময় আর্থিক খাতের অব্যবস্থাপনার কারণে অন্তত ১০টি ব্যাংক তীব্র ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা উল্লেখ করে অর্থ বিভাগ বলেছে, খেলাপি ঋণের কারণে আর্থিক খাত উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
দ্রুত অ্যাসেট কোয়ালিটি রিভিউ সম্পাদন করে ব্যাংকের প্রকৃত অবস্থা যাচাই করার পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি বিবেচনায় প্রয়োজনে মার্জার ও অধিগ্রহণের মতো পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছে অর্থ বিভাগ।
এজন্য ব্যাংক রেজোল্যুশন অর্ডিন্যান্স জারিসহ প্রয়োজনীয় আইন ও বিধি-বিধান প্রণয়ন জরুরি।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ কমে যাওয়ার তথ্য তুলে ধরে বলা হয়েছে, গত অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এক-তৃতীয়াংশে নেমেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে এফডিআইয়ের পরিমাণ ছিল ৭৪৪ মিলিয়ন ডলার, যা এবার কমে হয়েছে ২১৩ মিলিয়ন ডলার।
বিনিয়োগ পরিবেশ সহজীকরণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, ২০২৩ সালে ভিয়েতনামে নিট এফডিআই ছিল ১৮.৫ বিলিয়ন ডলার ও থাইল্যান্ডে ছিল ৬.৫ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশে এফডিআই বাড়াতে থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, দেশে যেসব বিদেশি বিনিয়োগকারী রয়েছে, তাদের মতামত গ্রহণ করে সমস্যা চিহ্নিত করে তা দূর করতে হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু অবকাঠামোই নয়, বিদেশি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দেশের রেগুলেটরি পরিবেশ উন্নত করা প্রয়োজন।
শিল্প খাতের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে বলতে গিয়ে আলোচিত বেক্সিমকো গ্রুপ সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেক্সিমকো গ্রুপের টেক্সটাইলসহ অন্যান্য কারখানার প্রায় ৪০ হাজার কর্মচারীর আন্দোলনে রাস্তা অবরোধসহ আশপাশের অন্যান্য শিল্পকারখানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করায় সেগুলো ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
বেক্সিমকোর শ্রমিক অসন্তোষ নিরসরে কারখানা বন্ধ করে সম্পদ বিক্রির মাধ্যমে সব শ্রমিকের পাওনা পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করেছে অর্থ মন্ত্রণলয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'যেসব কারখানার মালিক পলাতক রয়েছেন অথবা দুর্নীতি বা অর্থপাচারের অভিযোগে বিদেশে চলে গেছেন, তাদের মালিকানাধীন কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বা নিয়মিত বেতন-ভাতা দিতে না পারায় শ্রমিক অসন্তোষের সৃষ্টি হচ্ছে।
স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় শিল্পাঞ্চলে প্রায়শই শ্রমিক অসন্তোষ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র আন্দোলনের মতো ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
শ্রমিক অসন্তোষের 'স্পিলওভার ইফেক্ট' প্রতিরোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার যথাযথ মনিটরিং প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর আউশ ও আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৩.১৩ লাখ টন কম হয়েছে। সরকারের গুদামে বর্তমানে প্রায় ১৩ লাখ টন খাদ্যের মজুত আছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৩.৬ শতাংশ কম।
খাদ্যের মজুত ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে চলতি অর্থবছরে আরও ৯ লাখ টন আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেছেন, চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সারের ভর্তুকিতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ২৮ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) ও ট্রেডিং কর্পোরেশন অভ বাংলাদেশের (টিসিবি) খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সারা বছর চলমান রাখতে খাদ্য ভর্তুকি বাবদ সংশোধিত বাজেটে ৮ হাজার ৫৯ কোটি বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে প্রকৃত চাষিদের জন্য ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, মাঠ পর্যায়ে উৎপাদিত পণ্য সরাসরি ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেওয়ার কার্যকর পদ্ধতি দ্রুত খুঁজে বের করা প্রয়োজন।
চাল, ডাল, তেল, আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের বার্ষিক চাহিদার সঙ্গে বর্তমান মজুতের তুলনাভিত্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে মধ্যমেয়াদি চাহিদার প্রক্ষেপণ এবং এসব পণ্য সরবরাহের রূপরেখা তৈরি করার সুপারিশও করেছে মন্ত্রণালয়।
রাজস্ব আহরণে করণীয় সম্পর্কে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর বাজার উন্মুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমদানি পর্যায়ে শুল্ক কমে যাবে। তাই আয়কর ও ভ্যাট থেকে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই।
আর রাজস্ব আহরণ বাড়াতে আয়কর ও ভ্যাট বিভাগকে পূর্ণাঙ্গ অটোমেশণের আওতায় আনা জরুরি বলে মনে করছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
দেশব্যাপী আয়কর অফিস স্থাপন করা সম্ভব হলে তৃণমূল পর্যায় থেকেও আয়কর আহরণ করা সম্ভব হবে উল্লেখা করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এছাড়া কর-ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আ নার পাশাপাশি কর আদায় থেকে করনীতি সম্পূর্ণ পৃথক করার সুপারিশও করা হয়েছে এতে। দ্বিতীয়টির কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।