ডলারের দাম বেড়ে হলো ৮৭.৫০ টাকা
আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে এক ডলারের দাম বেড়ে হয়েছে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। মূলত আমদানির ব্যয় পরিশোধের চাপে মার্কিন ডলারের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে।
গত ২০ দিনে ব্যবধানে তিন দফায় ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন হলো এক টাকা ৩০ পয়সা।
সোমবার (১৬ মে) আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতিডলার কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। একদিন আগেও এক ডলার কিনতে লাগত ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা। আর গত ১০ মে ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা এবং ২৭ এপ্রিল ছিল ৮৬ টাকা ২০ পয়সা।
তবে আন্তঃব্যাংকের চেয়ে বেশি মূল্যে গ্রাহকদের কাছে ডলার বিক্রি করছে ব্যাংকগুলো।
ব্যাংকগুলো নগদ ডলার বিক্রি করছে এর ৫-৭ টাকা বেশি দরে। ব্যাংকের বাহিরে খোলাবাজার বা কার্ব মার্কের্টে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে ৯২- ৯৬ টাকায়।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশের রপ্তানি আয়ের তুলনায় বেশি পরিশোধ করতে হচ্ছে আমদানি মুল্য। ফলে বাড়তি ডলার লাগছে। সে তুলনায় রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়েনি। ফলে ব্যাংক ব্যবস্থা ও খোলাবাজারে মার্কিন ডলারের ওপর চাপ বাড়ছে। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, 'আমাদের রপ্তানি আয়ের তুলনায় আমদানি বেশি, এ কারণে ডলারের উপর চাপ পড়েছে।'
তিনি আরো জানান, রপ্তানি বাড়ছে, ঈদের সময় ২০০ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে। এর সঙ্গে ব্যাংকগুলোর চাহিদা অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার সরবরাহ করছে। এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর চাহিদার বিপরীতে ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করা হয়েছে।
'আমরা আশা করি রপ্তানি বাড়বে। এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য ছাড়া অন্যান্য পণ্যের আমদানিতে নগদ মার্জিনসহ আমরা বিভিন্ন বিধিনিষেধ দিয়েছি। আশা করছি, খুব শিগগিরই বাজার স্থিতিশীল হয়ে যাবে।'