এবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ফেসবুকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন আরেক হুইসেলব্লোয়ার
এক সপ্তাহ আগেই আমেরিকার কংগ্রেসে ফেসবুকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেন। জবানবন্দিতে তিনি বলেছেন ফেসবুক কীভাবে সমাজের ক্ষতি করে সে সম্পর্কে মানুষের কাছে বারবার মিথ্যে কথা বলেছে।
এবার ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাদের কাছে ফেসবুকের ব্যাপারে মুখ খুলবেন আরেক হুইসেলব্লোয়ার।
সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সাক্ষ্য দেবেন সাবেক ফেসবুকের সাবেক ডাটা বিজ্ঞানী সোফি ঝ্যাং। ধারণা করা হচ্ছে, ফেসবুক নিয়ে চলমান বিতর্কের আগুনে ঘি ঢালবে তার সাক্ষ্য।
ঝ্যাংকে ভিডিও কলের মাধ্যমে ফেসবুকে তার কাজের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার টিম 'বট অ্যাকাউন্ট' নিয়ে কাজ করত। এই ভুয়া অ্যাকাউন্টগুলোর অধিকাংশ বিভিন্ন সংস্থা চালাত। এদের অর্থায়ন করত রাশিয়ার মতো দেশগুলো।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অনলাইন সেফটি বিল কমিটির প্রধান ড্যামিয়েন কলিন্স বলেন, 'এই নেটওয়ার্কগুলো ভুল তথ্য ছড়িয়েছে এবং অন্য দেশের রাজনীতিতে নাক গলিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে নিরাপদ করে তোলার জন্য মিথ্যা তথ্য ছড়ানো ভুয়া অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখা জরুরি। আর কোম্পানিগুলো এখন কী করছে, আমরা তা জানতে চাই। জানতে চাই, আমাদের আর কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।'
এর আগে ফ্রান্সেস হাউগেন বলেছিলেন, ফেসবুকের প্ল্যাটফর্মগুলো যে কিশোরীদের মানসিক ক্ষতি করে, তা প্রতিষ্ঠানটি জানত। এছাড়াও বিদ্বেষমূলক কথা ছড়ানো ঠেকানোর জন্য সফটওয়্যার ব্যবহারেও ফেসবুকের নির্বাহীরা বাধা দিয়েছে বলে জানান হাউগেন। কারণ বিদ্বেষমূলক কথা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি চর্চা হয়। এতে প্ল্যাটফর্মটির প্রবৃদ্ধি বাড়ে।
আগামী ২৫ অক্টোবর পার্লামেন্টে নিজের বক্তব্যের সপক্ষে প্রমাণ পেশ করবেন হাউগেন।
২০২০ সালে ফেসবুকের চাকরি ছাড়েন ডাটা বিজ্ঞানী ঝ্যাং। এমন কিছু কাগজপত্র নিয়ে তিনি কোম্পানিটি ছাড়েন, যেগুলোতে অভিযোগ আছে যে হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট প্রায় এক বছর ফেসবুকের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর কর্মসূচি চালিয়েছেন। ফেসুক ঝ্যাংয়ের এসব তথ্য-প্রমাণ আমলে নেয়নি। ঝ্যাং গত বছর গার্ডিয়ানের কাছে প্রথম এসব তথ্য তুলে ধরেন।
ঝ্যাং জানিয়েছেন, সম্প্রতি তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে তার তথ্যাদি জমা দিয়েছেন। তবে চলমান তদন্তের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
- সূত্র: দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট