কোভিড-১৯ টিকাকেন্দ্র চেনাবে গুগল ম্যাপ
একসময় জায়গা না চিনলে নতুন কোথাও যেতে কষ্ট পোহাতে হতো। কিন্তু এখন গুগল ম্যাপের বদৌলতে, নতুন রাস্তাঘাট চিনতে আর রাস্তার পর রাস্তা খুঁজে বেড়াতে হয়না। হাতে একটি স্মার্টফোন আর সেই ফোনে গুগল ম্যাপ ডাউনলোড করা থাকলেই আপনি অনায়াসে চলে যেতে পারবেন যাবেন আপনার গন্তব্যে।
এখন শুধু এই রাস্তাঘাট, দোকান, স্কুল-কলেজ নয়, আপনার বাড়ির পাশে কোথায় কোভিড-১৯ টিকাকেন্দ্র বসেছে তাও এবার পেয়ে যাবেন এই গুগল ম্যাপে!
গুগল ম্যাপ এবং সার্চ অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে কোভিড -১৯ টিকাদানের কেন্দ্রের অবস্থান যুক্ত করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে টেক-জায়ান্ট গুগল।
গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই বলেন, "ভ্যাকসিনের সুষ্ঠু বিতরণ এবং 'ভ্যাকসিন এডুকেশন' এর জন্য গুগল প্রায় একশ পঞ্চাশ মিলিয়ন ডলার দান করেছে"।
পাশাপাশি টিকাদানের কেন্দ্র নির্দেশের জন্য নিজস্ব পেজ খোলার বিষয়েও তিনি জানিয়েছেন বলে দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।
গুগুল সার্চের ফলাফল অনুযায়ী, এ বছরের শুরু থেকেই ভ্যাকসিন উৎপাদন এবং বিতরণ ঘিরে আগের চাইতে টিকাদান কেন্দ্র খোঁজার প্রবণতা বেড়েছে পাঁচগুণ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে পৌঁছানোর আগে এই প্রকল্পটি অ্যারিজোনা, লুইসিয়ানা, মিসিসিপি এবং টেক্সাস দিয়ে শুরু হবে। তবে এখনও কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা নিশ্চিত করা যায়নি।
আসন্ন সপ্তাহগুলোর মধ্যেই গুগল ম্যাপ এবং সার্চ এপ্লিকেশনে সরকারী টিকাদানের সাইটগুলো যুক্ত করা শুরু করবে।
পিচাই একটি ব্লগ পোস্টে লিখেছেন, "কোভিড -১৯ মহামারীটি সারা বিশ্বকে কাঁপালেও, পুরো পৃথিবীকে এক করেছে"।
"এত হাজার হাজার মানুষের মাঝে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা সহজ না হলেও, আমাদের জীবনকালে সমাধা করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি," তিনি বলেন।
প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে মার্কিন নতুন প্রশাসন।
এর আগে গুগল, বিশেষত ইউটিউব করোনাভাইরাসের ভুল তথ্য পরিচালনার জন্য সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিল।
এ মাসের শুরুতে, বিশ্বের বৃহত্তম অনলাইন ভিডিও প্ল্যাটফর্মটি স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্ব ঘোষণা করেছে।
সুন্দর পিচাই বলেন, ভ্যাকসিন সম্পর্কে জনগণের কাছে তথ্য দিতে "গুগল এবং ইউটিউব জুড়ে 'গেট দ্য ফ্যাক্টস' নামে একটি নতুন উদ্যোগের পরিকল্পনা করা হয়েছে"।