গানবাজনা থামাতে আফগানিস্তানের বিয়েবাড়িতে হামলা
আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশে এক বিয়েবাড়িতে হামলা চালিয়ে অন্তত দুজনকে হত্যা করেছে বন্দুকধারী দল। এসময় নিজেদেরকে তালেবান পরিচয় দেয় তারা। বিয়ের অনুষ্ঠানে গান বাজানো বন্ধ করতে চালানো হয় এ হামলা।
সুরখ রোড জেলার সেই যৌথ বিয়েতে শুক্রবার একসাথে চার দম্পতির বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এ ঘটনায় অন্তত দুজন নিহতের পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
এদিকে তালেবানের একজন মুখপাত্রের ভাষ্যমতে, তিন বন্দুকধারীর মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে হামলাকারীদের তালেবানের পক্ষে কাজ করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি।
ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, স্থানীয় এক তালেবান নেতার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে শুধুমাত্র নারীদের ব্যবহৃত একটি এলাকায় গান বাজাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু গভীর রাতে কয়েকজন বন্দুকধারী জোর করে ভেতরে ঢুকে লাউডস্পিকার ভাঙার চেষ্টা করে। অতিথিরা এর প্রতিবাদ করলে গুলি চালায় তারা।
তবে তালেবানের বিরোধিতাকারী ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী (আইএস) নানগারহার প্রদেশে সক্রিয়। এমনকি অতীতে একই ধরনের ঘটনার জন্যও দায়ী করা হয়েছে তাদেরকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সৈন্যদল প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর এ বছরের আগস্টে আফগানিস্তান দখলে নেয় তালেবান। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবানের প্রথম শাসনামলে আফগানিস্তানে সঙ্গীত নিষিদ্ধ ছিল। তবে, নতুন সরকার এখনও পর্যন্ত এ ধরনের কোনো আদেশ জারি করেনি। বর্তমানে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার আশায় আরও মধ্যপন্থী চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করছে তারা।
ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত একজন গায়ককে হত্যা এবং বাদ্যযন্ত্র ভেঙে ফেলার অভিযোগ রয়েছে তালেবানের বিরুদ্ধে। তাছাড়া অনেক গায়ক এবং সুরকার ইতোমধ্যেই আফগানিস্তান ত্যাগ করেছেন।
- সূত্র: বিবিসি