পোষা কুকুর-বিড়ালের করোনা পরীক্ষা করাবে দক্ষিণ কোরিয়া!
এবার পোষা কুকুর ও বিড়ালের করোনাভাইরাস সনাক্ত পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এসব পোষা প্রাণির মাঝে করোনার লক্ষণ দেখা গেলেই করতে হবে পরীক্ষা, জানিয়েছে সিউল মেট্রোপলিটন গভর্নমেন্ট।
এর আগেও একটি বিড়ালছানার করোনা সনাক্ত হয়েছিল বলে জানিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। এটিই ছিল দেশটিতে প্রথম কোন প্রাণির করোনায় আক্রান্তের সংবাদ।
তবে কেবলমাত্র যে সকল পোষা প্রাণি ভাইরাসবাহক মানুষের সংস্পর্শে আসার পরে জ্বর বা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গে ভুগছে তাদেরই পরীক্ষা করানো হবে।
করোনা পজিটিভ হলে পোষা প্রাণিটিকেও বাসায় কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে।
তবে আইসোলেশনে পাঠানোর প্রয়োজন হবে না। কারণ পোষা প্রাণি থেকে মানবদেহে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর কোন প্রমাণ এখনো মেলেনি বলে জানান পার্ক ইয়ো-মি নামক একজন ব্যাধি নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা।
আক্রান্ত পোষা প্রাণিটির মালিক যদি কোভিড -১৯ এ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন অথবা খুব অসুস্থ বা বয়স্ক হন বা প্রাণীটির যত্ন নেয়ার মত সামর্থ্য তার না থাকে, তাহলে সে প্রাণিকে নগর কর্তৃপক্ষের পরিচালনাধীন কোন স্থানে কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।
দক্ষিণ কোরিয়াতে সাধারণত হাসপাতালে নেয়ার মত গুরুতর অবস্থা না হলে কোভিড আক্রান্তদের বাড়িতেই কোয়ারেন্টিনে থেকে চিকিৎসা গ্রহণে উৎসাহিত করা হয়।
পার্ক পোষা প্রাণীকে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণিদের থেকে কমপক্ষে দুই মিটার দূরত্ব বজায় রেখে হাঁটানোর পরামর্শ দেন।
গত মাসের শুরুতেই দক্ষিণ কোরিয়ার জিনজু শহরে একটি ধর্মশালায় এক বিড়ালছানার করোনায় আক্রান্তের খবর মেলে।
স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, সে ধর্মশালায় অবস্থানরত এক মা ও মেয়ের জুটির কাছ থেকে বিড়ালটি সংক্রমিত হয়। এই দু'জনই করোনাভাইরাস পজিটিভ ছিলেন।
বিশেষজ্ঞরা এর আগে বলেছিলেন, যে কুকুর বা বিড়ালের মাধ্যমে মানুষের মাঝে ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে গবেষণায় এসেছে, বিড়ালরা ভাইরাসটি বহন করতে পারে এবং অন্য বিড়ালদের সংক্রমিত করার ক্ষমতাও রাখে।
বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত কয়েকটি পোষা প্রাণি ভাইরাসের জন্য পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে -যদিও এ সংখ্যা অনেক কম।
- সূত্রঃ বিবিসি