প্রথম দিনেই লেনদেনের শীর্ষে দ.কোরিয়ার দ্বিতীয় প্রজন্মের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কোম্পানি
কোভিড-১৯-এর নতুন প্রকরণের বিরুদ্ধে কার্যকরী ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার বায়োটেকনোলজি প্রতিষ্ঠান এসকে বায়োসায়েন্স করপোরেশন। প্রতিষ্ঠানটি পাবলিকের নিকট শেয়ার বিক্রি করার প্রথম দিনেই চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ আইপিও দর তুলেছে।
বৃহস্পতিবার সকালেই এসকে বায়োসায়েন্সের লেনদেন আইপিও দরের ১৬০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
বর্তমানে, প্রতিষ্ঠানটি কোভিড-১৯ ভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন বি.১.৩৫১ প্রকরণের বিরুদ্ধে ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনা করছে। কোভিডের এই প্রকরণ দক্ষিণ আফ্রিকায় সর্বপ্রথম শনাক্ত হয়। সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রেও ভাইরাসটি পাওয়া যায়।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নতুন এই প্রকরণের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি ততটা কার্যকর নয়।
ট্রায়াল সফল হলে, এ বছরের শেষ নাগাদ এসকে বায়োসায়েন্স প্রায় এক বিলিয়ন ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের তথ্যানুযায়ী, দ্রুত দ্বিতীয় প্রজন্মের এই ভ্যাকসিন উৎপাদনে সাহায্য করছে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের মতো বৈশ্বিক গোষ্ঠী।
নতুন এই ভ্যাকসিনের অর্থায়ন এসেছে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা ফাউন্ডেশন এবং সিইপিআইয়ের তরফ থেকে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা পিএলসি এবং নোভাভ্যাক্স ইঙ্কের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এসকে বায়োসায়েন্স। দক্ষিণ কোরিয়ায় ভ্যাকসিনটির উৎপাদন ও বিতরণে সাহায্য করবে ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান দুটি।
ডিয়ালজিকের তথ্যানুসারে, ২০১৭ সালের পর এসকে বায়োসায়েন্সের আইপিও দর এখন সর্বোচ্চ। এর আগে, ২০১৭ সালে দেশটির শীর্ষ মোবাইল গেমিং প্রতিষ্ঠান নেটমার্বল কর্পোরেশন সর্বোচ্চ ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ তুলতে সক্ষম হয়। এছাড়া সম্প্রতি, অক্টোবর মাসে কে-পপ ব্যান্ড বিটিএসের ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান বিগ হিট এন্টারটেইনমেন্ট করপোরেশন প্রথম দিনের শেয়ার লেনদেনে এক লাফে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ওঠে।
দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠী এসকে গ্রুপের অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান এসকে বায়োসায়েন্স। সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনকারী সংস্থা এসকে হাইনিক্স ইঙ্কও এসকে গোষ্ঠীর সদস্য।
- সূত্র: দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল