বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করছে লেবানন সরকার
ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী আরব দেশ- লেবাবন এখন বিক্ষোভে উত্তাল। এ অবস্থায় দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে মন্ত্রীসভার পদত্যাগের খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এপি।
স্থানীয় সময় সাড়ে ৭টায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। ভাষণে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে নিজ সরকারের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করবেন তিনি।
চলমান বিক্ষোভের মুখে গতকাল দেশটির পরিবেশমন্ত্রী ডেমিয়ানস কাত্তের এবং তথ্যমন্ত্রী মানাল আদেন সামাদ তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেন। আজ সোমবার (১০ আগস্ট) সকালে পদত্যাগ করেন বিচারমন্ত্রী ম্যারি- ক্লঁদে নাজম। এরপরই মন্ত্রীসভার অন্য সদস্যের পদত্যাগের কথা জানান লেবানিজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী হামাদ হাসান।
কেবিনেট বৈঠক শেষে হামাদ হাসান উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন; ''সরকারের সবাই পদত্যাগ করছে।''
এসময় তিনি প্রেসিডেন্টের কাছে মন্ত্রীসভা সদস্যদের পদত্যাগপত্র জমা দিতে যাচ্ছেন, বলেও জানিয়েছিলেন।
গত মাস থেকেই দেশটিতে শোচনীয় অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যে সরকারি দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রথম থেকেই কোভিড-১৯ সংক্রমণ মোকাবিলায় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা নিয়েও অসন্তুষ্ট ছিল দেশটির আপামর জনগণ। এরমধ্যেই আবার ঘটে বৈরুত সমুদ্র বন্দরে অবৈধভাবে মজুদকৃত রাসায়নিকের গুদামে বিস্ফোরণের ঘটনা।
মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যমগুলি জানায়, গত ৪ আগস্ট বৈরুত বন্দরে মজুদকৃত দুই হাজার টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট দুর্ঘটনাবশত বিস্ফোরিত হলে, তাতে ১৬৩ জন মারা যান। আহত হন কমপক্ষে ৬ হাজার। এতে বৈরুত নগরের একটি বড় অংশও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়েছে সমুদ্রতীর জুড়ে গড়ে ওঠা ১০ হাজার পর্যটন ব্যবসা। গৃহহীন হয়ে পড়াসহ কর্মসংস্থানের অবলম্বন হারিয়েছেন কমপক্ষে আড়াই লাখ মানুষ।
স্মরণকালের সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক মন্দায় বিপর্যস্ত জনতাকে যা আরও প্রতিবাদ মুখর করে তোলে।
এদিকে লেবাননে সরকার পতনের ঘটনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে সৌদি গণমাধ্যম। আরব নিউজ জানায়, এর ফলে লেবাননে ইরানি সমর্থনপুষ্ট শিয়া গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ'র অবস্থান আরো দুর্বল হবে।