ভারতে মাত্র ২১ দিনে করোনায় আক্রান্ত ১০ লাখ!
১৬ জুলাই থেকে ৬ অগস্ট, মাত্র ২১ দিনে ভারতে ১০ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষে গিয়েছে কোভিড শনাক্তের সংখ্যা। কিন্তু জুন ও জুলাই মাসে যে তিন রাজ্য থেকে মূলত কোভিডের কেস রিপোর্ট হচ্ছিল, সেই পরিসংখ্যানে অনেক পরিবর্তন এসেছে। পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঁচ রাজ্য, যেখানে আগে তেমন করোনার বাড়বাড়ন্ত ছিল না, ক্রমশ হটস্পট হিসাবে উঠে আসছে।
১৬ জুলাইয়ের আগে অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের করোনা রোগী ছিল জাতীয় সংখ্যার ১৯ শতাংশ। কিন্তু গত তিন সপ্তাহে যে দশ লক্ষের ওপর কেস ধরা পড়ছে, তার ৪২ শতাংশ এই পাঁচ রাজ্যে।
সবচেয়ে উন্নতি হয়েছে দিল্লির। শেষ দশ লক্ষের মাত্র তিন শতাংশ দিল্লি থেকে। সেখানে প্রথম দশ লক্ষ কেসের ১২ শতাংশ ছিল রাজধানীতে। ১৬ জুলাইয়ে ভারতের মোট কেসলোডের ৫৩ শতাংশ ছিল বিগ থ্রি-র খাতে। মহারাষ্ট্র ( ২৮.৩ শতাংশ) ও তামিলনাড়ু ( ১৫.৬ শতাংশ) ছিল দিল্লির আগে।
কিন্তু সংক্রমণের চল অনেকটাই কমেছে গত তিন সপ্তাহে যা নিচের ম্যাপটি থেকেও স্পষ্ট। ক্রমশ দক্ষিণ ও পূর্ব ভারতে জাঁকিয়ে বসছে করোনা। তবে মহারাষ্ট্রের অবস্থা এখনও খারাপ। অ্যাক্টিভ কেসে দ্বিতীয় স্থানে অন্ধ্রপ্রদেশ। নয়া কেসের প্রায় ১৬ শতাংশ পাওয়া গেছে জগনের রাজ্যে। মোট নয়া দশ লক্ষ কেসের ১২.১ শতাংশ তামিলনাড়ুতে।
অ্যাক্টিভ কেসের তালিকা এরপর আছে কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার। ফলে গত ১৬ জুলাইয়ের পর নতুন করে ১০ লক্ষ সংক্রমণের ৪২ শতাংশ অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার থেকে। প্রথম ১০ মিলিয়নে মাত্র ১৯ শতাংশ কেস ছিল এই রাজ্যগুলো থেকে। স্বভাবতই এগুলি যে নতুন হটস্পট তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আগামী দিনে এই সমস্ত জায়গায় করোনা কতটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তার ওপরেই নির্ভর করবে ভারতের করোনা যুদ্ধের ফলাফল।