মাস্ক পরা কার্যকর, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
মাস্ক পরিধান করলে আক্রান্ত ব্যক্তির দ্বারা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব, একারণেই ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময় মাস্ক ব্যবহার করতে বলেন গবেষকরা।
বর্তমানে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাস্ক পরে থাকা অবস্থায় ভাইরাসের সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হলেও- উপসর্গ মৃদু হতে পারে মাস্কের কারণে, এছাড়াও ভাইরাস সংস্পর্শে আসলে মাস্ক সংক্রমণ হওয়া রোধ করতে পারে।
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. মনিকা গান্ধি বলেন, "বিভিন্ন ধরনের মাস্কের সুরক্ষা ক্ষমতার মাত্রা আলাদা হলেও, সব মাস্কই মানবদেহে ভাইরাসের সরাসরি প্রবেশ রোধ করে। মাস্ক ভেদ করে প্রবেশ করলেও রোগের উপসর্গ অপেক্ষাকৃত ভাবে মৃদু হবে।"
দ্য জার্নাল অফ জেনারেল ইন্টার্নাল মেডিসিনে- ড.মনিকা ও সহকর্মীদের গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞ দল বলছেন, মাস্ক ব্যবহার করলে তুলনামূলক কম করোনাভাইরাসের পার্টিকেল (সূক্ষ্মকণা) মানবদেহে প্রবেশ করে।
কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ড. সিওন ফিরেও এব্যাপারে বলেন, মাস্ক ব্যবহার ও মৃদু উপসর্গের ব্যাপারটি এখনো কারণ ও ফলাফল হিসেবে প্রমাণিত নয়। খবর দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের।
সাম্প্রতিক সময়ে বিজ্ঞানীরা স্বেচ্ছাসেবীদের দেহে বিভিন্ন ধরনের ফ্লু ভাইরাস প্রবেশ করিয়ে গবেষণা করেছেন। দেখা যায়, বিভিন্ন পরিমাণের ভাইরাসের ক্ষেত্রে প্রভাব আলাদা। যত বেশি মাত্রায় ভাইরাস প্রবেশ করানো হয় -আক্রান্ত ব্যক্তির উপর তার প্রভাব সেই তুলনায় পড়ে বেশি।
নতুন করোনাভাইরাস অত্যন্ত বিপদজনক হওয়ায় এধরনের গবেষণা করা সম্ভব নয়। তবে এবছরের শুরুতে চীনের একদল বিজ্ঞানী হ্যামস্টার বা ইঁদুর জাতীয় প্রানির উপর এধরনের গবেষণা চালান।
তারা পাশাপাশি কয়েকটি খাঁচায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত ও সুস্থ হ্যামস্টার রাখেন। কিছু খাঁচায় সার্জিকাল মাস্কের তৈরি সুরক্ষা ব্যবস্থা দেয়া হয়। এসকল খাঁচার বেশিরভাগ প্রাণির মধ্যেই ভাইরাস সংক্রমণ হয়নি। স্বল্পসংখ্যক প্রাণি আক্রান্ত হলেও, তারা সুরক্ষা ব্যবস্থাবিহীন অন্য খাঁচার প্রাণীদের তুলনায় কম অসুস্থ হয়।
মাস্ক ব্যবহারের নিয়ম নিয়েও রাজনীতিকরন হচ্ছে। মার্কন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছুদিন আগপর্যন্তও মাস্ক ব্যবহারের উপযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মাস্ক পরতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি তিনি এই সিদ্ধান্ত বদলেছেন ।