সরে যাবেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা শীঘ্রই পদত্যাগ করবেন এবং সেপ্টেম্বরে ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনেও অংশ নেবেন না বলে জানা গেছে। শুক্রবার জাপানের কিয়োডো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দলীয় সূত্র। ক্ষমতায় আসার মাত্র এক বছর মাথায়ই পদত্যাগ করতে চলেছেন তিনি।
অসুস্থতার কারণে গত সেপ্টেম্বরে শিনজো অ্যাবের পদত্যাগের পর দায়িত্ব গ্রহণ করেন সুগা। তবে, দায়িত্ব নেওয়ার পর কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় দায়িত্বশীল ভূমিকা না রাখতে পারায়, এ বছরের সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে তার সমর্থনের হার ৩০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে।
দলীয় নেতাদের মাঝে নির্বাচন হওয়ার কথা ২৯শে সেপ্টেম্বর এবং নিম্নকক্ষে এলডিপির সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে নিশ্চিতভাবে বিজয়ী নেতাই হবেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। আর এদিকে, ১৭ই অক্টোবর সরকার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ভাবছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের দুটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, সুগা তার মন্ত্রিসভা এবং দলীয় কর্মকর্তাদের মাঝে রদবদলের পরিকল্পনা করেছিলেন, যদিও সেটি সফল হয়নি।
অন্যদিকে, প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা দলীয় নেতার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বৃহস্পতিবার, তিনি সুগার করোনাভাইরাস মোকাবেলা কৌশলের সমালোচনা করে, মহামারি মোকাবেলায় একটি কার্যকরী পরিকল্পনার আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে সোফিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক কইচি নাকানো বলেন, "কিশিদা আপাতত প্রতিযোগিতার শীর্ষ আছেন; কিন্তু তার মানে এই নয় যে তার বিজয় নিশ্চিত।"
এ বছর, তৃণমূল এলডিপি সদস্যরাও দলের সংসদ সদস্যদের সঙ্গে ভোট দেবেন, যা দলীয় নেতা নির্বাচনের ফলাফল অনুমানের কাজটিকে আরও কঠিন করে তুলেছে। আসন হারানোর ভয়ে নতুন সংসদ সদস্যরা সিনিয়রদের আদেশ অনুসরণে সতর্ক থাকবেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
একজন বুদ্ধিমান রাজনৈতিক নেতা হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের শুরুতে সুগার জনপ্রিয়তা ছিল ৭৪ শতাংশ। ধারণা করা হয়েছিল, তিনি দেশের আমলাতান্ত্রিক সংস্কার সহ মহামারি দুর্যোগ মোকাবেলায় যথাযথ ভূমিকা রাখবেন।
প্রাথমিকভাবে, জনসাধারণকে দেওয়া কিছু প্রতিশ্রুতি, যেমন- ফোনকলের মূল্য কমানো এবং প্রজনন চিকিৎসায় বীমা সুবিধা নিশ্চিতকরণ বেশ প্রশংসিতই হয়েছিল।
কিন্তু উপদেষ্টা প্যানেল থেকে সরকারের সমালোচনাকারী একটি বিজ্ঞদলকে সরিয়ে দেওয়া এবং বয়স্কদের স্বাস্থ্যসেবা খরচের নীতিতে একটি 'জুনিয়র কোয়ালিশন পার্টির' সঙ্গে সমঝোতা করায় তিনি কঠোর সমালোচনার মুখোমুখী হন।
এছাড়া, কোভিড-১৯ মহামারির মাঝে জাপানের পর্যটন শিল্পে তার "গো টু" নামক ভ্রমণ কর্মসূচিও বেশ সমালোচিত হয়েছে।