করোনা রুখতে মাঠে নেমেছেন মেসি-বুফনরা
শুরুটা চীন থেকে। এরপর করোনাভাইরাস থাবা বসায় ইউরোপে। চীন-ইউরোপের পর প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা। এমন অবস্থায় সবাইকে সচেতন করতে নিজ নিজ জায়গা থেকে সতর্ক বার্তা পাঠাচ্ছেন বিশ্ব তারকারা।
করোনা সতর্কতায় এবার যৌথভাবে জনসচেতনতা প্রচার শুরু করেছে ফুটবলের আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিফা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। 'পাস দ্য মেসেজ টু কিক আউট করোনাভাইরাস' (করোনাভাইরাস তাড়াতে বার্তা পৌঁছে দিন) নামের এই প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন বিশ্বের বিখ্যাত ২৮ জন ফুটবলার।
করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে বিশ্ববাসীকে পাঁচটি বিষয়ে সচেতন থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন লিওনেল মেসি, জিয়ানলুইজি বুফন, মাইকেল ওয়েন, মিরোস্লাভ ক্লোসার মতো বিশ্ব তারকা ফুটবলাররা। ভিডিও ক্যাম্পেইনে ২৮জন ফুটবলার অংশ নিয়েছেন, তাদের দেওয়া বিভিন্ন বার্তা ১৩টি ভাষায় প্রচারিত হচ্ছে।
এই ক্যাম্পেইনে প্রচার চালানো পাঁচটি বিষয় হচ্ছে; হাত ধোয়া, কফ বা থুতু কীভাবে ও কোথায় ফেলতে হবে এ সংক্রান্ত জ্ঞান, হাত দিয়ে নাক-মুখ স্পর্শ না করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও অসুস্থতা বোধ করলে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা।
জনসচেতনতামূলক এই প্রচারণা নিয়ে ডব্লিউএইচ'র মহাপরিচালক ড. টেডরস অ্যাডহ্যানম গ্রেব্রেইয়েসুস বলেন, 'এই মহামারি রোধে শুরু থেকেই ফিফা ও তার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলোর ব্যাপারে বলে যাচ্ছেন। ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বা আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে, ফিফা করোনাভাইরাস আটকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। করোনাভাইরাসকে বিদায় করে দেওয়ার এই লড়াইয়ে ফিফা আমাদের সঙ্গে আছে বলে আমি খুব খুশি।'
ভিডিও ক্যাম্পেইনে অংশ নেওয়া ২৮ ফুটবলার: লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা), জিয়ানলুইজি বুফন (ইতালি), ইকার ক্যাসিয়াস (স্পেন), কার্লেস পুয়োল (স্পেন), গ্যারি লিনেকার (ইংল্যান্ড), স্যামুয়েল ইতো (ক্যামেরুন), মিরোস্লাভ ক্লোসা (জার্মানি), ফিলিপ লাম (জার্মানি), অ্যালিসন বেকার (ব্রাজিল), রাদামেল ফ্যালকাও (কলম্বিয়া), মাইকেল ওয়েন (ইংল্যান্ড), জাভি হার্নান্দেজ (স্পেন), ইয়াইয়া তোরে (আইভোরি কোস্ট), হুয়ান সেবাস্তিয়ান ভেরন (আর্জেন্টিনা), সুনীল ছেত্রী (ভারত), ইউরি ডিউরকায়েফ (ফ্রান্স), সামি আল জাবের (সৌদি আরব), এমরে বেলোয়জোগলু (তুরস্ক), জারেদ বোর্গেত্তি (মেক্সিকো), হান দুয়ান (চীন), লরা জর্জেস (ফ্রান্স), ভ্যালেরি কারপিন (রাশিয়া), কার্লি লয়েড (যুক্তরাষ্ট্র), মিডো (মিসর), পার্ক জি সুং (দক্ষিণ কোরিয়া), আসাকো তাকাকুরা (জাপান), সুন ওয়েন (চীন)।