ক্রিকেটের সব ম্যাচই পাতানো, দাবি ভারতীয় জুয়াড়ির
পৃথিবীর কোনো ক্রিকেট ম্যাচই ফিক্সিংয়ের বাইরে নয়, সব ম্যাচেই ফিক্সিং হয়। এমনই দাবি ভারতীয় জুয়াড়ি সঞ্জীব চাওলার। ২০০০ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে যান দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়াত ক্রিকেটার হ্যান্সি ক্রনিয়ে। তখন প্রথম নাম শোনা যায় এই সঞ্জীব চাওলার। এই জুয়াড়ির ফাঁদে পা দিয়েই ফিক্সিংয়ের অন্ধকার জগতে জড়িয়ে পড়েন ক্রনিয়ে।
২০ বছর পর সঞ্জীব চাওলাকে বাগে পেয়েছে দিল্লি পুলিশ। দীর্ঘদিন পর ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফেরানো এই জুয়াড়ির নামে মামলা চলছে। তবে করোনা পরিস্থতির কারণে জামিন পেয়েছিলেন তিনি। ভারতীয় এই জুয়াড়ির দাবি, পৃথিবীর কোনো ক্রিকেট ম্যাচই শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় না। কলকাঠি নাড়ার জন্য কেউ না কেউ থাকেনই।
সঞ্জীব চাওলা বলেছেন, 'যেসব ক্রিকেট ম্যাচ দর্শকরা দেখেন, সেগুলো বিশাল বড় সিন্ডিকেট বা মাফিয়া দ্বারা পরিচালিত হয়। যে কারণে ফিক্সিং করা ছাড়া উপায় থাকে না। এটা অনেকটা স্ক্রিপটেড। ঠিক যেভাবে পরিচালক দ্বারা একটি সিনেমা পরিচালিত হয়, এখানেও তেমনই ব্যাপার।'
বেশি বললে প্রাণশঙ্কা আছে জানিয়ে ভারতীয় এই জুয়াড়ি আরও বলেন, 'যেহেতু ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে মাফিয়ারা সরাসরি জড়িত থাকে, তাই ক্রিকেটারদের প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা থাকে। এর চেয়ে বেশি কিছু এখন বলা সম্ভব নয়। না হলে আমারও প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা থাকবে। কারও নাম এভাবে বলা সম্ভব নয় আমার পক্ষে।'
২০০০ সালে হ্যান্সি ক্রনিয়ের ফিক্সিং কাণ্ডের মূল হোতা ছিলেন সঞ্জীব। তখন থেকেই তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টায় ভারতীয় পুলিশ। কিন্তু ওই ফিক্সিং কাণ্ডের পরই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সঞ্জীব। ইংল্যান্ডে পাড়ি জমানো এই জুয়াড়ি সেখানকার নাগরিকত্বও পেয়ে যান।
এ কারণে দেশে ফেরানো যাচ্ছিল না তাকে। ভারতের অনুরোধে ২০১৬ সালে সঞ্জীবকে গ্রেপ্তার করে লন্ডনের পুলিশ। ২০১৬ সালে গ্রেপ্তার হলেও চার বছর পর তাকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়। দেশে ফিরেই এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।