গ্যারি কারস্টেনের বিশেষ ক্লাসে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা
১১ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে টেস্ট এবং ওয়ানডে মিলিয়ে ২৮৬টি ম্যাচ খেলেছেন। এর মধ্যে ১৮৫টি ওয়ানডে খেলার মিশনে বিশ্বকাপ ছুঁয়ে দেখার সম্ভাবনাও জেগেছে। কিন্তু ছুঁয়ে দেখা হয়নি। গ্যারি করস্টেনের বিশ্বকাপ ছোঁয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে কোচ হিসেবে। ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতকে শিরোপা জিতিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই কোচ।
কেবল বিশ্বকাপ জেতানোই নয়, ভারতকে এক নম্বর টেস্ট দলও বানিয়েছেন তিনি। কোচ হিসেবে তাই কারস্টেনের কদর অনেকের চেয়েই বেশি। তার ক্রিকেট জ্ঞান কেনার চেষ্টায় থাকে অনেক দেশই। তবে বাংলাদেশকে কিনতে হচ্ছে না। অনলাইন সভায় বিশ্বজয়ী এই কোচকে পাচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা।
বুধবার ক্রিকেটারদের অনলাইন সভা আছে। এ সভায় যোগ দেবেন কারস্টেন। বাংলাদেশের প্রধান কোচ ও তার স্বদেশি রাসেল ডমিঙ্গোর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে সভায় যোগ দিচ্ছেন কারস্টেন। এই সভায় নিজের কোচিং অভিজ্ঞতা, ক্রিকেট জ্ঞান বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভাগাভাগি করবেন তিনি।
কারস্টেনের কাছ থেকে কোনো পরামর্শ নিতে চাইলেও ক্রিকেটাররা নিতে পারবেন। অনলাইন সভায় কারস্টেনের যোগ দেওয়ার বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান আকরাম খান।
বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, 'করোনাকালে কোচ ও ক্রিকেটারদের নিয়ে আমরা নিয়মিত অনলাইন সভা করেছি। গত কয়েক মাসে ৭-৮টি সভা করেছি আমরা। আমাদের বুধবারের সভায় কারস্টেন থাকছেন। ডমিঙ্গোর আমন্ত্রণে তিনি সাড়া দিয়েছেন। ক্রিকেটাররা চাইলে তার কাছ থেকে পরামর্শ-উপদেশ নিতে পারবে।'
অন্য কোচের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার চিন্তাটা মূলত রাসেল ডমিঙ্গোর। এতে ক্রিকেটাররা যেমন নতুন বিষয়ে জানতে পারেন, তেমনি ডমিঙ্গো নিজেই নিজের মূল্যায়ন করার একটা সুযোগ পান।
এ চিন্তা থেকেই এরআগে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসনের হাতে পুরো দলের অনুশীলনের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন ডমিঙ্গো। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান কোচ হিসেবে গিবসন যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন, সেটা কজে লাগাতে চেয়েছেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ।