তাইজুল জাদুতে ২৮৬ রানে অলআউট পাকিস্তান, বাংলাদেশের লিড
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/11/28/taijul_5.jpg)
পূর্ভাবাসের সঙ্গে পরিণতির মিল থাকলো না। উদ্বোধনী জুটিতে ১৪৫ রানের জুটি গড়া পাকিস্তানের ইনিংসই থেমে গেল ২৮৬ রানে। প্রথম ইনিংসেই বাংলাদেশ পেল ৪৪ রানের লিড। বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরাতে কাণ্ডারির ভূমিকা পালন করেছেন তাইজুল ইসলাম। স্পিন জাদুতে ৭ উইকেট নেন বাঁহাতি এই স্পিনার। এবাদত হোসেন ২টি ও মেহেদী হাসান মিরাজ একটি উইকেট পান।
আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান আবদুল্লাহ শফিক এদিন কোনো রান যোগ করতে পারেননি। ৫২ রান করে ফেরেন তিনি। তবে আবিদ আলী ঠিকই সেঞ্চুরি তুলে নেন। টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি পাওয়া ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ২৮২ বলে ১২টি চার ও ২টি ছক্কায় ইনিংস সেরা ১৩৩ রান করেন।
এরপর তাইজুল-এবাদতদের বোলিংয়ের সামনে পাকিস্তানের কেউ-ই রান করতে পারেননি। অধিনায়ক বাবর আজম ১০, হাসান আলী ১২ ও ফাহিম আশরাফ ৩৮ রান করেন। বিনা উইকেটে ১৪৫ রান তোলা পাকিস্তান তাদের ১০ উইকেট হারিয়েছে ১৪১ রানে।
তৃতীয় দিনের শুরুতেই তাইজুলের আঘাতে দিক হারায় পাকিস্তান। প্রথম ওভারেই টানা দুই উইকেট তুলে নেন তিনি। এরপর চলতে থাকে তার স্পিন ঘূর্ণি। মাঝে তিনটি উইকেট নেন এবাদত ও মিরাজ। শুরুর মতো শেষটাও করেন তাইজুল। ৪৪.৪ ওভারে ১১৬ রান খরচায় বাঁহাতি এই স্পিনারের শিকার ৭ উইকেট।
এটা বাংলাদেশ ও তার দ্বিতীয় সেরা বোলিং। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৯ রানে তাইজুলের নেওয়া ৮ উইকেট টেস্টে বাংলাদেশের সেরা বোলিং। শেষ জুটিতে ফাহিম আশরাফ ও শাহিন শাহ আফ্রিদি ভোগাচ্ছিল। ফাহিমকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন তাইজুল।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করা বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রান তোলে। ১১৪ রানের ইনিংস খেলেন লিটন কুমার দাস। মুশফিকুর রহিম করেন ৯১ রান। এ ছাড়া ১৪ রান করে করেন সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত। মেহেদী হাসান মিরাজ ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন।