রোনালদোদের হারিয়ে এবার এশিয়ার বিজয় নিশান ওড়ালো দক্ষিণ কোরিয়া
জাপানের পর এবার এশিয়ার বিজয়গাঁথা লিখল দক্ষিণ কোরিয়া। পর্তুগালকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে বেশি গোল করার সুবাদে গ্রুপ রানার্স-আপ হয়ে নক-আউটে উঠেছে সন হিউং মিনরা।
নক-আউটে যেতে হলে দক্ষিণ কোরিয়াকে জিততেই হতো পর্তুগালের বিপক্ষে, যোগ করা সময়ের গোলে জিতে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে এশিয়ান দেশটি। ফলে এশিয়া থেকে কাতারে সুযোগ পাওয়া তিনটি দল উঠল নক-আউট পর্বে।
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই নক-আউট পর্ব নিশ্চিত করে ফেলায় এই ম্যাচের তেমন গুরুত্ব ছিল না পর্তুগালের কাছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ড্র করলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাও নিশ্চিত হতো, হারলেও সুযোগ থাকতো সেটির।
তাই একাদশে বেশ কয়েকটি অদল-বদল আনেন পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। ইনজুরি ভীতি কাটিয়ে শুরুর একাদশে ছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও।
ম্যাচ শুরুর ৫ মিনিটেই কোরিয়ার স্বপ্ন ধূসর করে দেন পর্তুগালের হোয়ার্তা, দিয়োগো দালোতের ক্রস প্রথমবারেই জালে জড়িয়ে পর্তুগালকে এগিয়ে দেন তিনি। গোল খেয়ে মরিয়া হয়ে উঠে কোরিয়া। ২৭ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরান কিম-ইয়ং গুন। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ সমতায়।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর আগেই কোরিয়া জেনে যায় তাদের করণীয়, কারণ গ্রুপের অন্য ম্যাচে ঘানার বিপক্ষে প্রথমার্ধেই ২-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। ফলে নিজেদের জেতা তো বটেই, উরুগুয়ে যেন আর গোল দিতে না পারে সেই প্রার্থনাও করতে হতো কোরিয়াকে।
যদি দ্বিতীয়ার্ধে বলার মতো আক্রমণ করতে পারছিল না তারা, পর্তুগালের মাঝেও জয়ের স্পৃহা লক্ষ্য করা যায়নি। ম্যাচ ১-১ সমতায় শেষ হবে হবে মনে হচ্ছিল যখন ঠিক তখনই যোগ করা সময়ে সন হিউং মিনের ৭০ গজ দৌড়ে দেওয়া পাস থেকে বল জালে জড়ান হোয়াং হি চ্যান।
উল্লাসে ফেটে পড়েন কোরিয়ার খেলোয়াড়-সমর্থক এবং কোচিং স্টাফরা। অন্য ম্যাচে তখনও উরুগুয়ে আর গোল করতে না পারায় লিড ধরে রাখা ছিল কোরিয়ার প্রধান লক্ষ্য। যোগ করা সময় শেষ হলে জয়ের আনন্দ শুরু করতে পারেনি দক্ষিণ কোরিয়া, কারণ তখনও ৫ মিনিট বাকি ছিল উরুগুয়ে-ঘানা ম্যাচের।
শেষ পর্যন্ত আর গোল করতে পারেনি উরুগুয়ে, তাদের ম্যাচ শেষ হওয়া মাত্র নক-আউট পর্ব নিশ্চিত করার আনন্দে মাতে দক্ষিণ কোরিয়া।
হেরেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পর্তুগাল। শেষ ষোলোয় তাদের প্রতিপক্ষ নির্ধারিত হবে ব্রাজিল-ক্যামেরুন এবং সার্বিয়া-সুইজারল্যান্ড ম্যাচের পর। একইভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিপক্ষ কারা সেটি জানতে অপেক্ষা করতে হবে এই দুটি ম্যাচ শেষ হওয়া পর্যন্ত।