ভারতের হারের পর শামিকে ‘পাকিস্তানি’ ডাকছেন সমর্থকরা
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই সেখানে অন্যরকম উত্তেজনা। হোক সেটা ক্রিকেট, ফুটবল কিংবা হকি। সবখানেই থাকে লড়াইয়ের ঝাঁঝ। যা মাঠের বাইরে ভক্ত-সমর্থকদের মাঝেও ছড়িয়ে পড়ে। হার-জয়ে নিশ্চিত হয় অবস্থা কেমন থাকবে। হারের পর অবস্থাটা কেমন হয়, সেটার আঁচ টের পেলেন ভারতের পেসার মোহাম্মদ শামি। পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের পর ভারতীয় সমর্থকরা তাকে পাকিস্তানি বলে ডাকছেন। কেউ কেউ শামিকে পাকিস্তানি গুপ্তচর বলে ডাকছেন।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে সব সময়ই দাপুটে ভারত। ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি; সব ফরম্যাটের বিশ্বকাপেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে অজেয় ছিল ভারত। দুটি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা ১২ ম্যাচ জিতেছে তারা। সেটা থেমে গেছে 'আনলাকি ১৩' তে। ভারতকে উড়িয়ে ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছে বাবর আজমের দল। ১০ উইকেটের বিশাল হারের পর ভারতীয় সমর্থকরা রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুণ্ডুপাত চলছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের। ব্যাট হাতে রান পাওয়া বিরাট কোহলি, ঋষভ পন্ত ও পেসার জাসপ্রিত মুবরাহ ছাড়া বাকিদের চড়ানো হচ্ছে সমালোচনার শূলে। আর শামির বেলায় তো সেটা চরমে গিয়ে ঠেকেছে। ডানহাতি এই পেসারের দেশাত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। ইনস্টাগ্রামে শামির অ্যাকাউন্টে গিয়ে তাকে পাকিস্তানি চর বলে আসছেন অনেক ভারতীয় সমর্থক।
মূলত শামির করা শেষ ওভারটি নিয়ে সমর্থকদের এই ক্ষোভ। পাকিস্তানের তখন ১৮ বলে ১৭ রান দরকার। কোহলি, রোহিত, রাহুল ও বামরাহর মধ্যে অনেক আলোচনার পর বল তুলে দেওয়া হয় শামির হাতে। তার করা প্রথম ৫ বল থেকেই ১৭ রান তুলে নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম, ১০ উইকেটে জিতে যায় পাকিস্তান।
এই ওভারের কারণে ভারতীয় সমর্থকদের রোষাণলে পড়েছেন শামি। ইনস্টগ্রামে বিভিন্ন জন বিভিন্ন ধরনের মন্তব্যে শামিকে নিয়ে সমালোচনা করছেন। অনেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। একজন লিখেছেন, 'পাকিস্তানের কাছ থেকে কতোটা টাকা নিয়েছেন।' আরেকজন লিখেছেন 'বিশ্বাসঘাতক, নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে দিলে।' আরেকজনের মন্তব্য, 'ভারতের পাকিস্তানি।' একজন লিখেছেন, 'পাকিস্তানের দ্বাদশ খেলোয়াড়।'
যে শামিকে নিয়ে ভারতীয় সমর্থকদের এত ক্ষোভ, সেই শামিই ছিলেন ২০১৫ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের জয়ের নায়ক। দারুণ এক স্পেলে পাকিস্তানের ব্যটিং লাইন-আপ গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এই ম্যাচেও আগের তিন ওভারে খারাপ বোলিং করেননি তিনি। নিজের প্রথম ওভারে তার খরচায ৮ রান। দ্বিতীয় ওভারে ১১ রান দেন তিনি। ৫ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ৩১ রান, এমন সময়ে ৭ রানে তৃতীয় ওভার শেষ করেন শামি।