মেসির শিরোপা উৎসর্গ বার্তায় ম্যারাডোনা
দীর্ঘ অপেক্ষা ফুরিয়েছে আর্জেন্টিনার। ২৮ বছর পর কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে আলবিসেলেস্তেরা। ১৯৯৩ সালে এই আসরে জেতা শিরোপাই ছিল আর্জেন্টিনার সর্বশেষ বৈশ্বিক শিরোপা। আর্জেন্টিনার অপেক্ষা শেষ হয়েছে, লিওনেল মেসির হাতে উঠেছে প্রথম শিরোপা।
অনেকের মতো মেসির হাতে একটি শিরোপা দেখতে চেয়েছিলেন দিয়েগো ম্যারাডোনাও। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে আনন্দাশ্রুতে মেসি শিরোপা উৎসব করেছেন ঠিকই, কিন্তু তা দেখে যেতে পারেননি সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার ম্যারাডোনা। তবে মেসির বিশ্বাস, ওপাড় থেকেই তাদেরকে সমর্থন দিয়ে গেছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর। শিরোপা উৎসর্গের পোস্টে এমনই জানিয়েছেন মেসি।
আর্জেন্টিনা নিয়ে আবেগের শেষ ছিল না ম্যারাডোনার। দলের খেলা থাকলেই মাঠে ছুটে যেতেন ৮৬'র বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক। কিন্তু প্রতিবারই খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হতো তাকে। বেশ কয়েকটি ফাইনাল খেললেও আর্জেন্টিনাকে শিরোপা উঁচিয়ে ধরার দৃশ্য দেখা হয়নি ম্যারাডোনার। ৬০ বছর বয়সে গত বছর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান আর্জেন্টাইন এই ফুটবল কিংবদন্তি।
বেঁচে না থাকলেও ম্যারাডোনাকে অনুভব করতে পারছেন মেসি। ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোপার শিরোপা জয়ের পর ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। যেখানে ব্যর্থতার সময়ে তাকে ও আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করে যাওয়া প্রতিটা মানুষকে এই শিরোপা উৎসর্গ করেছেন মেসি। এই পোস্টে প্রয়াত ম্যারাডোনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
মেসি লিখেছেন, 'আমার পরিবার, যারা আমাকে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি যুগিয়েছে, আমার বন্ধুরা, যাদের আমি অনেক ভালোবাসি, সেই সব মানুষ যারা কঠিন এই ভাইরাসের সময়ে সমর্থন দিয়েছে, বিশেষ করে আর্জেন্টিনার সাড়ে চার কোটি মানুষ, সবাইকে আমি এই সাফল্য উৎসর্গ করতে চাই। এটা আপনাদের সবার জন্য। আর অবশ্যই দিয়েগোকে ধন্যবাদ, তিনি যেখানেই থাকুন না কেন, নিশ্চিতভাবেই আমাদের সমর্থন করেছেন।'
কেবল মেসিই নন, দলের সবাই শিরোপা জয়ে নিজেদের সবটা উজাড় করে খেলেছেন। এমন একটি দলকে নেতৃত্ব দিতে পেরে গর্বিত আর্জেন্টিনা অধিনায়ক, 'এটা অসাধারণ এক কোপার আসর ছিল। আমরা জানি, আমাদের আরও অনেক কিছুতে উন্নতি করার আছে। তবে সত্যি হলো, ছেলেরা তাদের প্রাণ দিয়ে খেলেছে। দারুণ এই দলের অধিনায়ক হওয়ার চেয়ে বেশি গর্বিত আর কিছুতে হতে পারি না।'