রোনালদোদের হারিয়ে দিল ইয়ং বয়েজ
শুরুতেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর গোলে এগিয়ে গেল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এরপর রেড ডেভিলদের দাপট শুরু। কিন্তু ৩৪তম মিনিটে হিসাব যে পাল্টালো, তা আর ম্যান ইউর পক্ষে গেল না। রেড ডেভিলরা ১০ জনের দলে পরিণত হতেই তাদেরকে পেয়ে বসে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল ইয়ং বয়েজ, যা ম্যাচের শেষ পর্যন্ত ধরে রাখে তারা। বাকিটা সময়ে মুহুর্মুহু আক্রমণ সাজিয়ে গেছে ইয়ং বয়েজ। দারুণ গতিময় ফুটবল খেলে শেষ পর্যন্ত ম্যান ইউকে হারিয়েই দিল সুইজারল্যান্ডের ক্লাবটি।
এবারের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের উদ্বোধনী দিনে 'এফ' গ্রুপের খেলায় ঘরের মাঠে ম্যান ইউকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে ইয়ং বয়েস। ম্যান ইউর বিপক্ষে এই প্রথম কোনো ম্যাচ জিতলো ইয়ং বয়েজ। সুইস ক্লাবটির পক্ষে গোল করেন মউমি এনগামালেউ ও থিওসন সিবাতচু। ম্যান ইউর পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন রোনালদো।
যে ছন্দে ম্যাচ শুরু করেছিল ম্যান ইউ, সেটা তারা ধরে রাখতে পারেনি। ৩৪ মিনিট থেকে বাকিটা সময়ে একক আধিপত্য ধরে রেখে খেলে গেছে ইয়ং বয়েজ। একের পর এক আক্রমণে ম্যান ইউকে পাগল করে তোলে তারা। ম্যাচে ৫৪ শতাংশ সময় বল নিজেদের পায়ে রাখে ইয়ং বয়েজ। গোলমুখে তারা ১৯টি শট নেয়, এর মধ্যে ৫টি ছিল লক্ষ্যে। ম্যান ইউ গোলমুখে মাত্র ২টি শট নেয়, তবে দুটিই ছিল লক্ষ্যে।
ম্যান ইউর হারের জন্য নিজেকে দুষতে পারেন অ্যারন ওয়ান-বিসাকা। ৩৪তম মিনিটে বাজেভাবে ট্যাকল করে লাল কার্ড দেখেন দলটির এই ইংলিশ রাইটব্যাক। এরপরই ছন্দ হারিয়ে এলোমেলো ফুটবল খেলতে থাকে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া ম্যান ইউ।
নিজেকে অপরাধী মনে হতে পারে জেসি লিনগার্ডেরও। তার ভুল পাস থেকে বল নিয়ে গিয়েই জয়সূচক গোলটি করেন সিবাতচু। অবশ্য আরও বড় ব্যবধানে হারতে পারতো রেড ডেভিলরা। ১০ জনের দলে পরিণত হওয়ার পর তেমন কোনো আক্রমণই করতে পারেনি তারা। ইয়ং বয়েজ দাপুটে ফুটবল খেলে বল চাপিয়ে গেছে। কিন্তু অনেকগুলো সুযোগ মিস করায় বড় জয় তুলে নিতে পারেনি দলটি।
'ইতিহাস লেখা হয়েছে, আরও লেখা হবে'; দ্বিতীয় দফায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দিয়ে এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। প্রত্যাবর্তনে সেটাই মনে করিয়ে জোড়া গোল করেছিলেন পর্তুগিজ এই তারকা স্ট্রাইকার।
রেড ডেভিলদের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ প্রত্যাবর্তনেও গোলের দেখা পেলেন তিনি। এই ম্যাচ দিয়ে ইকার ক্যাসিয়াসের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা সর্বোচ্চ ১৭৭ ম্যাচের রেকর্ডও ছুঁয়ে ফেলেন তিনি। কিন্তু এমন ম্যাচে জয়ের হাসি হাসা হলো না তার।