লঙ্কান শাসন হজমের দিন
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার প্রথম টেস্টে রান বন্যা হয়েছিল। ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বোলারদের তেমন কোনো সুবিধাই ছিল না। পুরো পাঁচ দিন উইকেট ব্যাটিং সহায়ক থাকায় পাল্লেকেলের উইকেটকে গড়পড়তা মানের নিচে বলেছেন ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালে। পাল্লেকেলের উইকেটকে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও দিয়েছে আইসিসি।
গড়পড়তা মানের নিচে বলে ডিমেরিট পয়েন্ট দিলেও বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের ভেন্যু বদলায়নি। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটিও পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে।
এই ম্যাচেও যে রান বন্যা হতে পারে, তার আভাস মিললো প্রথম দিন শেষে। টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা শ্রীলঙ্কা এক উইকেটে ২৯১ রান তুলে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে। সেঞ্চুরি করেছেন অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। লাহিরু থিরিমান্নে সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। ওশাদা ফার্নান্দোও অপরাজিত আছেন।
পুরো দিন বাংলাদেশের বোলাররা কেবল চেষ্টাই করে গেছেন। অভিষিক্ত শরিফুল ইসলাম কেবল একটি উইকেট পেয়েছেন। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট খেলতে নামা বাঁহাতি এই পেসার করুনারত্নেকে ফিরিয়ে সাদা পোশাকে উইকেটের খাতা খোলেন।
ব্যাট হাতে দারুণ শুরু করেন করুনারত্নে ও থিরিমান্নে। উদ্বোধনী জুটিতে ২০৯ রান যোগ করেন এই দুই ব্যাটসম্যান। যদিও ২৮ রান করেই থামতে পারতেন করুনারত্নে। কিন্তু ইনিংসের ২০তম ওভারে তাসকিন আহমদের বলে তার তোলা ক্যাচ নিতে পারেননি মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত। মুমিনুলের জন্য ক্যাচটি কঠিন হলেও হাতের ওপর এসে পড়া বল মাটিতে ফেলে দেন শান্ত।
জীবন ফিরে পেয়ে আর ভুল করেননি করুনারত্নে। থিরিমান্নের সঙ্গে বিশাল জুটি গড়ার মাঝে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। আগের টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করা লঙ্কান অধিনায়ক ১৯০ বলে ১৫টি চারে ১১৮ রান করে শরিফুলের শিকারে পরিণত হন।
করুণারত্নের পর ওশাদা ফার্নান্দোকে নিয়ে দিনের বাকিটা সময় সহজেই পার করে দেন টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া থিরিমান্নে। ২৫৩ বলে ১৪টি চারে ১৩১ রানে অপরাজিত আছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ৯৮ বলে ৪টি চারে ৪০ রানে অপরাজিত আছেন ওশাদা। ইতোমধ্যে ৮২ রান যোগ করেছে থিরিমান্নে-ওশাদা জুটি।
প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সফলতম বোলার অভিষিক্ত শরিফুল ইসলাম। বাংলাদেশের যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের এই সদস্য ১৬ ওভারে ৫২ রান খরচায় একটি উইকেট নেন। ১৭ ওভার বোলিং করা তাসকিনও উইকেট পেতে পারতেন। কিন্তু ক্যাচ মিসে সেটা হয়নি। আবু জায়েদ, তাইজুল, মিরাজরা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেও উইকেট নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারেননি।