‘আবাহনী অটো চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে, এমন নয়’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবাহনীকে বলা হয় 'কমিটির দল'। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সব সময়ই আবাহনী বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকে, এমন অভিযোগ বেশ পুরনো। অনেক ক্রিকেট ভক্তের মতো প্রিমিয়ার লিগের অন্যান্য দলগুলোরও অভিযোগের শেষ নেই। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও ছিল কিছু বিতর্ক। তবে আবাহনীকে চ্যাম্পিয়ন হতে সংগ্রাম করতে হয়েছে বলে মনে করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার সভাপতির পদ সামলানোর পাশাপাশি আবাহনী ক্লাবের দিকেও চোখ রাখতে হয় নাজমুল হাসানকে। এতিহ্যবাহী ক্লাবটির বড় কর্তা তিনি। এ নিয়েও আছে সমালোচনা। বিসিবি সভাপতি ও আবাহনীর যোগসূত্র থাকায় ক্লাবটির সাফল্য নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন তোলা হয়।
যদিও বিসিবি সভাপতি সমালোচনায় কখনই কান দেন না। শনিবার প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে হারিয়ে আবাহনী লিমিটেড চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মাঠের পারফরম্যান্স নিয়েই মন্তব্য করলেন তিনি। প্রায় জাতীয় দলের মতো একটি দল নিয়েও আবাহনীকে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছে বলে জানান তিনি।
নাজমুল হাসান বলেন, 'খেলাগুলো দেখুন, ছোট-বড় বলে কোনো কথা নেই। কে জিতবে এটা বোঝার কোন পথ ছিল না। কাগজে-কলমে আবাহনী প্রায় জাতীয় দল ছিল। লিটন, নাঈম, আফিফ, মুশফিক, সাইফউদ্দিন, মোসাদ্দেক- ওরা তো জাতীয় দলের খেলোয়াড় এবং টি-টোয়েন্টি দলেই খেলে। তারপরও আবাহনীকে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। এমন না যে অটো জিতে গেছে।'
'আমরা মনে করলেও আসলে কোনো দল ছোট না। খেলাঘরের কাছেও আবাহনী হেরেছে। প্রাইম ব্যাংক, প্রাইম দোলেশ্বর খুব ভালো দল। সবচেয়ে ভালো বোলিং ছিল প্রাইম ব্যাংকের। মুস্তাফিজ, শরিফুল, রুবেলের মতো বোলাররা ছিল। কয়েকটা দল সংগ্রাম করেছে, যেহেতু জাতীয় দলের কিছু তারকা খেলোয়াড় খেলেনি। এ জন্য অনেক দল একটু দুর্বল হয়ে গেছে। ওরা খেললে কী হতো চিন্তা করে দেখুন। অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলা হয়েছে। এটাই ক্রিকেটের সৌন্দর্য।' যোগ করেন বিসিবি সভাপতি।
সুপার লিগের খেলাগুলো গাজী টিভি ও টি-স্পোর্টসে দেখানো হয়েছে। দর্শক জনপ্রিয়তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও সেটা শুরুতেই কেটে যায়। নাজমুল হাসান বলেন, 'অনেকেই সন্দিহান ছিল দর্শকপ্রিয়তা নিয়ে। শেষ পর্যন্ত দুটি চ্যানেল দেখিয়েছে, ওদের ধন্যবাদ জানাই। আজ ওরা জানাল, ওরা অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছে দর্শকদের, এতো মানুষ খেলা দেখেছে এবং মন্তব্য করেছে যে, ওরা আশ্চর্য হয়েছে। এটা ডিপিএলের দ্বিতীয় অর্জন। তৃতীয়ত, এটা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর নামে করা হয়েছে, কাজেই বাড়তি চ্যালেঞ্জ ও সৌন্দর্য ছিল।'