‘বোঝা’ হয়ে ওঠা মাশরাফিই নান্নুর অটো চয়েজ
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের আগে থেকেই মাশরাফি বিন মুর্তজার অবসর নিয়ে আলোচনা। বিশ্বকাপ চলাকালীন সেই আলোচনার বেগ বাড়িয়েছে সংবাদমাধ্যম। আর বিশ্বকাপ শেষে এই ইস্যুতে যা হয়েছে, তাতে রীতিমতো বিরক্ত বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। বিপিএল চলাকালীন মাশরাফি তো বলেই দেন, কারও ইচ্ছাতে অবসর নেবেন না তিনি।
পারফরম্যান্সের হিসাবে জাতীয় দলে জায়গা না হলেও ক্রিকেট থামাতে চান না মাশরাফি। খেলে যেতে চান ঘরোয়া ক্রিকেট। কোনো কিছুতেই থামেনি আলোচনা। উল্টো জিম্বাবুয়ে সিরিজে তার খেলা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। বিসিবি সভাপতি সেটা পরিস্কার করলেও জানিয়ে দেন, অধিনায়ক মাশরাফির অধ্যায় শেষ হচ্ছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। এমনকি তিনি আর কতদিন খেলবেন, এমন একটি প্রশ্নও করে রেখেছেন নাজমুল হাসান।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু অবশ্য এভাবে ভাবছেন না। তার মতে, ওয়ানডেতে মাশরাফি এখনও বাংলাদেশের অটো চয়েজ। পারফরম্যান্স করতে পারলে মাশরাফির জন্য সব সময় দরজা খোলা থাকবে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দল ঘোষণা করা হবে রোববার। দল চূড়ান্ত করতে শনিবার দুপুরে মাশরাফিসহ, আকরাম খান, খালেদ মাহমুদ সুজন ও হাবিবুল বাশারকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধান নির্বাচক। বৈঠকের পর মিনহাজুল আবেদীন বলেছেন, ‘মাশরাফি যদি ভালো পারফরম্যান্স করে, তাহলে সব সময় খেলবে। সে আমাদের অটো চয়েজ।’
দলে সুযোগ পেতে হলে পারফরম্যান্সের পাশাপাশি মাশরাফিকে বিপ টেস্টও দিতে হবে জানিয়ে রেখেছেন বিসিবি সভাপতি। তবে তার জন্য বিসিবি কিছুটা নমণীয় থাকবে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারেও মাশরাফির ওপর বিশ্বাস আছে প্রধান নির্বাচকের। তার বিশ্বাস বিপ টেস্ট উতরে যেতে পারবেন মাশরাফি।
মিনহাজুল আবেদীন বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে এগারোর বেশি বিপ টেস্ট দিয়েছিল মাশরাফি। তার পর আর দিয়েছে কিনা দেখিনি। সে ভালো দৌড়ায় আমি দেখেছি। আমার মনে হয়, বিপ টেস্টে দিলে পারবে।’
পারফরম্যান্স দিয়ে মাশরাফি দলে জায়গা করে নিলেও অধিনায়ক হিসেবে যে এটাই তার শেষ সিরিজ হতে যাচ্ছে, সেটা প্রায় নিশ্চিত করেই বলে রেখেছেন বিসিবি সভাপতি। কয়েকদিন আগে তিনি বলেন, ‘অধিনায়ক আমরা ঘোষণা করে দিব। কারও যদি পারফরম্যান্স ফিটনেস ঠিক থাকে তাহলে খেলতে কোনো সমস্যা নেই। জাতীয় দলে চান্স পেতে হলে যা যা মানদন্ড আছে, সেটা পূরণ করতে হবে।’
একই ক্রিকেটারকে নিয়ে বিসিবির সর্বোচ্চ পর্যায়ের দুই নীতি-নির্ধারকের দুই রকম বিশ্বাস। মাশরাফির বয়স, শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বিসিবি সভাপতি ‘নমণীয়’ ব্যবস্থার একটা টার্ম রেখেছেন। অথচ সেই মাশরাফিকে নিয়েই প্রধান নির্বাচকের বিশ্বাস কত উপরে!