নামের পাশে ৫০০ উইকেট দেখতে চান হাসান
গতির ঝড় তুলে সবার নজর কেড়েছিলেন। পরবর্তীতে এর সঙ্গে যোগ হয় সুইং নিয়ন্ত্রণ আর মাপা লাইন লেংথ। দুই বছর আগে অভিষেক পর্ব সেরে হাসান মাহমুদ এখন জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ডেথ বোলিংয়ে ডানহাতি এই পেসার এখন বাংলাদেশের অন্যতম ভরসা। এভাবেই দলের হয় অবদান রাখতে চাওয়া হাসানের চোখ ৫০০ উইকেটে। ক্যারিয়ারে শেষে নিজের নামের পাশে ৫০০ আন্তর্জাতিক উইকেট দেখতে চান তিনি।
যতো দিন যাচ্ছে, ততোই আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন হাসান। অভিজ্ঞতার ঝুলি সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি নিজের অস্ত্রও করছেন শাণিত। দারুণ সম্ভাবনাময় এই পেসারকে প্রশ্ন করা হলো, ক্যারিয়ার শেষে নামের পাশে কতো উইকেট দেখতে চান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের উত্তরটা সঙ্গে সঙ্গেই দিয়ে দেন হাসান, যেন উত্তর প্রস্তুত করাই ছিল।
কতো উইকেট নিতে চান। প্রশ্নটা শুনতেই হাসানের উত্তর, 'অবশ্যই ৫০০ উইকেট।' নির্দিষ্ট ফরম্যাটের কথা বললে একজন পেসারের জন্য এই মাইলফলক স্পর্শ করাটা কষ্টসাধ্য। এ কারণেই নিশ্চিত হতে সংবাদ সম্মেলনের পরে হাসানের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা। পরিষ্কার হতে তার কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, ৫০০ উইকেট সব ফরম্যাট মিলিয়ে নিতে চান? হাসান বলেন, 'সব মিলিয়ে ৫০০ উইকেট নিতে চাই।'
২০২০ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া হাসানের খুব বেশি ম্যাচ খেলা হয়নি। জাতীয় দলের হয়ে ৬টি ওয়ানডে ও ১১টি টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। দুই ফরম্যাট মিলিয়ে হাসানের শিকার ২৩ উইকেট। দুদিন আগে ডেথ ওভারে নিজেকে দলের সম্পদ হিসেবে প্রমাণ করেছেন হাসান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় ২ উইকেট নেওয়া ২৩ বছর বয়সী তরুণ পেসার ১৭ ও ১৯তম ওভারে সব মিলিয়ে দেন মাত্র ৫ রান।
বড় সংগ্রহের পথে থেকেও হাসানের এমন বোলিংয়ের কারণে সেটা তুলতে পারেনি ইংল্যান্ড। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলের বিপক্ষে এমন বোলিং করার সাহসটা তিনি পেয়েছেন গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে করা পারফরম্যান্সের কারণে। অ্যাডিলেডের সেই ম্যাচে ৩ উইকেট নেওয়া হাসান বলেন, 'ভারতের বিপক্ষে ওই ম্যাচের পর আমার ভয় কেটে গেছে। এখানে আমার জন্য একটু সহজ হয়েছে।'
ইনিংসের ১৩তম ওভারে হাসানকে টানা দুই ছক্কা মারেন জস বাটলার। তবে খেই হারাননি তিনি, ১৬তম ওভারের প্রথম বলেই ইংলিশ অধিনায়ককে ফিরিয়ে দেন হাসান। এ নিয়ে হাসান বলেন, 'ও যে আমাকে দুটি ছয় মেরেছে পরপর, আমি ওই ছয়ের দিকে তাকাইনি। আমি দেখিইনি ও কী করছে। শুধু আমি কী করব, তা নিয়ে ভাবছিলাম। শেষ দুই ওভারে আমার চ্যালেঞ্জ ছিল যেকোনোভাবে এই দুই ওভার রান কম দিতে হবে। সেটাই করার চেষ্টা করেছি।'