দাপুটে ব্যাটিংয়ে দারুণ প্রস্তুতি বাংলাদেশের
বিশ্বকাপের আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে প্রথমটিতে আজ শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে লাল সবুজের দল। দাপুটে ব্যাটিং পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন তামিম-লিটন-মিরাজরা।
দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান চোটের কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি এই ম্যাচটি খেলেননি। ছিলেন না সহ-অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তও। দলকে নেতৃত্ব দেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
টসে জিতে আগে ব্যাট করা শ্রীলঙ্কার ২৬৪ রানের লক্ষ্য হেসেখেলেই টপকে যায় বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং লিটন দাস দুর্দান্ত শুরু এনে দেন। মাত্র ২০.৪ ওভারে ১৩১ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে জয়ের ভিত গড়ে দেন এই দুজন।
লিটন আউট হওয়ার আগে খেলেন ৫৬ বলে ৬১ রানের চোখ জুড়ানো ইনিংস। ১০টি চার মারেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। সেঞ্চুরির পথে এগোতে থাকা তামিম যদিও শেষ পর্যন্ত ১০০ করতে পারেননি। তবে ৮৮ বলে ৮৪ রান করে আউট হওয়ার যেমন খেলেছেন, তা যদি বিশ্বকাপেও ধরে রাখতে পারেন তাহলে বাংলাদেশের জন্য ওপেনিং নিয়ে চিন্তা অনেকটাই কমে যাবে। তামিম মারেন ১০টি চার ও দুটি ছয়।
তিনে নামা মেহেদী হাসান মিরাজও তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। ৬৪ বলে পাঁচ চার এবং দুই ছয়ে ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার সঙ্গে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিকুর রহিম। এই দুজনের জুটি ৭৬ রানে অবিচ্ছিন থেকে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে আক্রমণাত্মক শুরু করেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল পেরেরা। যার মধ্যে পেরেরা বাংলাদেশের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান।
২৪ বলে ৬ চারে ৩৪ রান করেন তিনি। পেরেরা আহত অবসর হয়ে যাওয়ার সময় লঙ্কানদের স্কোর ৯.১ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৪ রান। এরপর নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস ৪০ রানের একটি জুটি গড়েন। ১৯ বলে ২২ রান করা মেন্ডিসকে ফেরান নাসুম আহমেদ।
আসালাঙ্কা, শানাকা ফিরলে শ্রীলঙ্কার স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৭৭ রান। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও দিমুথ করুণারত্নে গড়েন ৪১ রানের জুটি। লঙ্কানদের এই ৪১ রানের জুটি ভাঙে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে। ৪৩ তম ওভারের চতুর্থ বলে তানজিম হাসান সাকিবকে মিড অফে ঠেলে দ্রুত সিঙ্গেল নিতে যান করুণারত্নে। মিড অফ থেকে ডিরেক্ট থ্রোতে নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প ভেঙেছেন মাহমুদউল্লাহ।
করুণারত্নের পর ডি সিলভার উইকেটেও অবদান রেখেছেন ফিল্ডার মাহমুদউল্লাহ। ৪৬ তম ওভারের পঞ্চম বলে মেহেদী হাসান মিরাজকে তুলে মারতে যান ডি সিলভা। লং অফে সহজ ক্যাচ ধরেছেন মাহমুদউল্লাহ।
এরপর ৪৯.১ ওভারে ২৬৩ রানে অলআউট হয়ে যায় লঙ্কানরা। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন মাহেদি।