ভালো-মন্দের প্রথম দিন
নতুন বছরের প্রথম দিন। দিনটা রাঙিয়ে রাখতে কে না চায়! বাংলাদেশ ক্রিকেট দলও চেয়েছিল রাঙাতে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বল হাতে দিনটা রাঙানোর দারুণ আভাসও মিলেছিল। কিন্তু ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়াং বাধায় সেটা হয়নি। দুরন্ত সূচনা, মাঝে কিউই ব্যাটসম্যানদের শাসন, দিনের শেষভাগে আবার উইকেটপ্রাপ্তি; সব মিলিয়ে মিশ্র অভিজ্ঞতায় নতুন বছরের প্রথম দিনটা কাটলো বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ সময়ে শনিবার ভোরে মাউন্ট মঙ্গানুইতে শুরু হওয়া সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডও অবশ্য স্বস্তিতে নেই। প্রথম দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে তারা হারিয়েছে টম ব্লান্ডেলের উইকেট। ৩২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন হেনরি নিকোলস। প্রথম দিন শেষে ৫ উইকেটে কিউইদের সংগ্রহ ২৫৮ রান।
দিনটা হতে পুরোপুরিভাবে বাংলাদেশের পারতো। শুরুটা দুর্দান্ত করেন বাংলাদেশের দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। চতুর্থ ওভারেই নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টম ল্যাথামকে ফিরিয়ে দেন শরিফুল। এরপর উইকেটের সুবিধা কাজে লাগিয়ে সুইং আদায় করে নেওয়া তাসকিন-শরিফুলরা দারুণ বোলিং করতে থাকেন। প্রথম ঘণ্টায় নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলে দেন তারা।
এরপর যতো সময় গড়িয়েছে, উইকেটের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছেন ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়াং। দারুণ শুরুর সুবিধা কাজে লাগিয়ে এই দুই কিউই ব্যাটসম্যানকে কক্ষচ্যুত করতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। দ্বিতীয় উইকেটে ১৩৮ রানের জুটি গড়েন কনওয়ে-ইয়াং। রান আউটে কাটা পড়ে বিদায় নেওয়ার আগে ১৩৫ বলে ৬টি চারে ৫২ রান করেন ইয়াং। এটা তার তৃতীয় টেস্ট হাফ সেঞ্চুরি।
এরপর কনওয়ের সঙ্গে যোগ দেন অভিজ্ঞ রস টেলর। এই জুটিও দলকে কিছুটা সময় পথ দেখায়। দলীয় ১৮৯ রানের মাথায় টেলরকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। বাংলাদেশের তরুণ বাঁহাতি এই পেসারের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৩১ রান করেন টেলর। কনওয়ে তখনও অবিচল, দারুণ ছন্দে খেলে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।
মুমিনুল হকের বলে আউট হওয়ার আগে ২২৭ বলে ১৬টি চার ও একটি ছক্কায় ১২২ রানের ইনিংস খেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। প্রথম দিনের বাকিটা সময়ে স্বাগতিকদের পথ দেখান হেনরি নিকোলস ও টম ব্লান্ডেল। দিনের শেষ বলে ১১ রান করা ব্লান্ডেলের স্টাম্প ভাঙেন এবাদত হোসেন। অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন নিকোলস। শরিফুল ২টি এবং মুমিনুল ও এবাদত একটি করে উইকেট পেয়েছেন।