দ্বিতীয় দিন শেষেই ইনিংস হারের শঙ্কা?
বল হাতে আহামরি কিছু করা যায়নি। বাঁহাতি স্পিনে তাইজুল ইসলাম ৬ উইকেট নিলেও প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা অল্প রানে বেধে রাখা যায়নি। চার হাফ সেঞ্চুরিতে ৪৫৩ রান তুলে বাংলাদেশের চাপ বাড়িয়েছে স্বাগতিকরা। সেই চাপে বাংলাদেশের দিশেহারা অবস্থা। ১২২ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় দিন শেষ হওয়ার আগে ৪১ ওভারে ৫ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৩৯ রান। মুশফিকুর রহিম ৩০ ও ইয়াসির আলী রাব্বি ৮ রানে অপরাজিত আছেন। প্রথম ইনিংসের কিছুটা পথ পাড়ি দিতেই মুমিনুল হকের দলকে পড়ে যেতে হয়েছে ইনিংস হারের শঙ্কায়। ফলোঅন এড়াতে বাংলাদেশকে করতে হবে ২৫২ রান। এই রান ছুঁতে এখনও বাকি ১১৩ রান, হাতে উইকেট ৫টি। এ ছাড়া প্রথম ইনিংসে ৩১৪ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
পোর্ট এলিজাবেথের সেন্ট জর্জেস স্টেডিয়ামে ব্যাট হাতে বাংলাদেশের শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নের মতো। দলীয় ৩ রানেই মাহমুদুল হাসান জয়কে হারায় সফরকারীরা। যদিও এই চাপ কাটিয়ে উঠতে সময় নেননি প্রায় এক বছর পর টেস্ট খেলতে নামা তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৯ রানের জুটি গড়ে তোলেন তারা।
কিন্তু দলীয় ৮২ রানে তামিম আউট হতেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। ৩০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় তারা। এ সময় ঘাতক হয়ে দেখা দেন প্রোটিয়া ডানহাতি পেসার ভিয়ান মুল্ডার। কয়েক মুহূর্তের ব্যবধানে ৩টি উইকেট তুলে নেন তিনি। বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি ভাঙা ডুয়ানে অলিভিয়ের আরেকটি উইকেট নেন।
তামিমকে বেশ সাবলীল দেখাচ্ছিল। ওয়ানডে মেজাজে রান তুলে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু কিন্তু মুল্ডারের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পা দিয়ে ৪৭ রান করেই থামতে হয় তাকে। এরপর শুরু হয় উইকেট বৃষ্টি। ৩৩ রান করে থামেন শান্ত। ১৫ রান পর সাজঘরে অধিনায়ক মুমিনুল হক, ৬ রান করেন তিনি। লম্বা সময় ধরে দারুণ ছন্দে থাকা লিটন কুমার দাসও কিছু করতে পারেননি, ১১ রান করে বিদায় নেন তিনি। মুল্ডার ৩টি ও অলিভিয়ের ২টি উইকেট নেন।