২০২০ সালে ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে এশিয়া-প্যাসিফিকে বাংলাদেশ থাকবে শীর্ষে: এডিবি
২০২০ সালে বাংলাদেশের জিডিপি (গ্রস ডমিস্টিক প্রডাকশন) প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ হবে বলে মনে করছে এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। বুধবার সংস্থাটির ঢাকা অফিসে প্রকাশিত ‘এশিয়ান ডেভলপমেন্ট আউটলুক ২০১৯’এর আপডেটে এই সম্ভাবনার কথা বলা হয়।
একই সময়ে ভারতের প্রবৃদ্ধি হবে ৭.২ শতাংশ এবং তাজিকিস্তানে ৭ শতাংশ। ওদিকে যথাক্রমে ৬.৮ ও ৬.৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনাম চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে থাকবে।
গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি নিয়ে এডিবি যেসব পূর্বানুমান দিয়েছে তা ধারাবাহিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী। ২০১৬ সালের ৭.১ শতাংশ থেকে ২০১৭ সালের ৭.৩ এবং ২০১৮ সালের ৭.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কথা বলেছিল তারা। আর ২০১৯ সালের প্রবৃদ্ধি ৮.১ শতাংশ হবে বলে এডিবি জানিয়েছিল।
চাহিদার দিক থেকে দেখলে, একদিকে বেড়েছে রপ্তানি, অন্যদিকে ব্যক্তিগত ভোগ। আবার রেমিটেন্সের প্রবৃদ্ধিও বাংলাদেশের জিডিপি গ্রাফটি উপরের দিকে নিয়ে যাবে। পাশাপাশি,সরকারি-বেসরকারি উভয় ধরনের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতামূলক আর্থিক নীতিও প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
জোগানের দিক থেকে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে শিল্প ও কৃষি খাতের টেকসই ও শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির হিসাব। ২০২০ সালে আমাদের প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হবে এগুলোই।
তবে, প্রবৃদ্ধির হার দীর্ঘমেয়াদে ধরে রাখতে হলে বাংলাদেশকে কিছু চ্যালেঞ্জের মুখেও পড়তে হবে। এডিবি সে বিষয়ে কিছু পরামর্শও দিয়েছে তাদের আপডেট রিপোর্টে।
রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্য বৃদ্ধি,গ্রাম ও শহরের মধ্যে ন্যায্যতাভিত্তিক উন্নয়ন এবং নিবিড় আর্থিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাধাগুলো দূর করতে বলছে এই এশীয় থিংক ট্যাংক।
বেসরকারি খাতে গতিশীলতার জন্য এডিবি ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতি ঘটাতে পরামর্শ দিচ্ছে। আর সেজন্য দরকার কিছু সংস্কার।
বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ হবার সম্ভাবনার কথা বললেও এডিবি সামগ্রিকভাবে এশিয়ার প্রবৃদ্ধি হিসাব করছে ৫.৫ শতাংশ।