জেফ বেজোসের রকেট দেখতে সাধারণ রকেটের চেয়ে কেন আলাদা
গতকাল মঙ্গলবার ধনকুবের জেফ বেজোস যে রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছেন, তার নাম নিউ শেপার্ড। লম্বা শরের মতো দেখতে রকেটটির শীর্ষদেশ গোলাকার।
তবে অনেকের মনেই প্রশ্ন, নিউ শেপার্ড দেখতে ঠিক সাধারণ রকেটের মতো নয় কেন? এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন হারভার্ড-স্মিথসনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকসের জ্যোতির্বিজ্ঞানী জনাথন ম্যাকডাওয়েল।
নিউ শেপার্ডে মাশরুমের মতো একটা ক্রু ক্যাপসুল রয়েছে, যা একটি দীর্ঘ শ্যাফটের ওপর দিয়ে জ্বলতে থাকে। একে বুস্টার বলা হয়।
নিউ শেপার্ডের গোলাকার শীর্ষটি অন্যান্য সাধারণ রকেটের চেয়ে একটু বেশি কন্দাকাকার, যদিও একেবারে অন্যরকম নয়। ম্যাকডাওয়েল বলেন, 'আমরা হ্যামারহেড রকেট যাকে বলি, তার ইতিহাস বেশ পুরনো।'
হ্যামারহেড রকেটে ক্যাপসুলের ব্যাস বুস্টারের চেয়ে বেশি। এই গঠনের মধ্যে রয়েছে অতি সূক্ষ্ম ও নিখুঁত বায়ুগতিবিজ্ঞানের ছোঁয়া।
নিউ শেপার্ডের ভেতরটা এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে জায়গার সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করা যায়। ফলে এর ভেতরে ছয়জন যাত্রীর স্থান সংকুলান হয়। স্থিতিশীল পুনঃপ্রবেশের জন্যও রকেটটার তলা বানাতে হয়েছে বড় ও সমতল করে।
অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিউ শেপার্ডের ভেতরে জায়গা বাড়ানো হয়েছে, বানানো হয়েছে নিখুঁত জানালা। রকেটটির জানালা গম্বুজাকৃতির এবং বেশ বড়।
বুস্টারের ভর কমানোর জন্য বিস্তর গবেষণার পর এর আকার যতটা সম্ভব কমিয়ে ফেলেছেন প্রকৌশলীরা। আকার বদলানোর কারণ, ঘন ও মোটা সিলিন্ডারের চেয়ে লম্বা ও শীর্ণ সিলিন্ডারের ভারসাম্য বজায় রাখা সহজ।
এসব কারণে সাধারণ রকেটের চেয়ে একটু আলাদা চেহারা পেয়েছে নিউ শেপার্ড। রকেটটির ডানা রিং আকারের। পুনঃপ্রবেশ প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য ডানাগুলোকে এই আকার দেওয়া হয়েছে।
- সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান