ব্রাসেলসে লকডাউনের দিনলিপি
ইউরোপিয়ান দেশ বেলজিয়ামেও হানা দিয়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। এ পর্যন্ত ২ হাজার ২৫৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্য মারা গেছেন ৩৭ জন। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির রাজধানী ব্রাসেলসে চলছে লকডাউন। 'গৃহবন্দী' জীবন কাটাতে হচ্ছে নাগরিকদের। কেমন কাটছে সে জীবন? চলুন, রয়টার্সের সূত্র ধরে জানা যাক...।
এক সপ্তাহ ধরে ক্লাস নিতে পারছেন না শিক্ষক ইভেস কার্ডিয়ন। এ অভিজ্ঞতা তার কাছে আজব! অন্যদিকে বাসায় বসে সুদিন ফেরার অপেক্ষারত ব্যাংক কর্মী ক্যাথরিন হুগো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাস্যরসাত্মক ভিডিও পোস্ট করে ব্যস্ত রাখছেন নিজেকে। এর মাধ্যমে নিজেকে ও অপরদের চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছেন তিনি।
ব্রাসেলসে, বাসার জানালা থেকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন কার্ডিয়ন। সেখান থেকে টেলিফোনে রয়টার্সকে তিনি জানিয়েছেন, 'কী যে অদ্ভুত লাগছে! ইন্টারনেটে ছাত্র-ছাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আর নিজের ডেস্ক পরিষ্কার করেই দিন কাটছে আমার।'
কোটি কোটি ইউরোপিয়ানের মতো বেলজিয়ানরাও করোনার সংক্রমণ রুখতে নিজেদের স্বেচ্ছা 'গৃহবন্দি' রেখেছেন। ইচ্ছে করলেও কর্মক্ষেত্রে কিংবা ক্যাফেতে যেতে পারছেন না তারা। হাঁটতে পারছেন না চিরচেনা রাস্তায়।
নার্স ফ্রাঁসোয়া বলেন, জীবন এখানে সুনামির আগে শান্ত রূপ নেওয়া সাগরের মতো!
ইতালি, ফ্রান্স ও স্পেনের মতো এ দেশেও ৫ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে সব দোকান, রেস্তোরাঁ, স্কুল। নাগরিকদের বলা হয়েছে, একান্ত বাধ্য না হলে যেন ঘর থেকে বের না হন।
এরই মধ্যে শুক্রবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী সোফি উইলমস ঘোষণা করেছেন, 'আমি জানি এই পরিস্থিতিতে দিন কাটানো খুবই কঠিন, কিন্তু আমাদের অন্য কোনো উপায় নেই।'