আরও এক সপ্তাহের লকডাউন প্রয়োজন: কারিগরি কমিটি
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের বর্তমান উর্ধ্বমূখী সংক্রমণ পরিস্থিত মোকাবিলায় আরও এক সপ্তাহের লকডাউন দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ।
রোববার সন্ধ্যায় দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে তিনি বলেন, "আমরা প্রথম যখন পরামর্শ দিয়েছি তখনই আমরা পরিস্কার ভাবে বলেছি বিজ্ঞানসম্মতভাবে করোনা সংক্রমণ কমাতে চাইলে লকডাউন দুই সপ্তাহ দিতে হবে। আমরা এখনো সেটাতেই স্ট্যান্ড করছি। আমরা মনে করেছি সেটাই প্রয়োজন।"
তিনি জানান, এক সপ্তাহ লকডাউন দিয়ে করোনা সংক্রমণের উর্ধ্বগতি সেভাবে থামানো যাবে না।
"নতুন করে আর কোন সুপারিশ করিনি আমরা। আমাদের আগের পরামর্শ অনুসারে কার্যকর ফলাফলের জন্য সাতই জুলাই লকডাউন শেষ হলে তা আরো এক সপ্তাহ দেয়া প্রয়োজন।"
এদিকে রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে আরও ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যার গ্রাফ গত দেড় মাস ধরে ৩০ থেকে ৫০ এর ঘরে উঠানামা করছিল। তবে তিন সপ্তাহ থেকে তা আবার বাড়তে শুরু করেছে।
মারাত্মক সংক্রামক এই ভাইরাসটি গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে দেশের আরও ৮ হাজার ৬৬১ জনের দেহে; শনাক্তের দিক থেকে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে গত বুধবার সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৮২২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছিল।
মহামারি শুরুর পর থেকে সব মিলিয়ে এই শনাক্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৯১৭ জনে। সংক্রমণের সেকেন্ড ওয়েভে গত মাসে সংক্রমণের সংখ্যা হু হু করে বাড়লেও রমজান মাস ও পরবর্তী সময়ে দেশজুড়ে লকডাউনের পর শনাক্তের সংখ্যা কিছুটা কমেছিল। তবে জুনের প্রথমার্ধেই তা বাড়তে শুরু করেছে।