চুল কাটার ঘটনায় শিক্ষিকা সাময়িক বরখাস্ত, থামেনি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।
এদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে স্থায়ী বহিস্কারের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার সোহরাব আলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তদন্ত কমিটির প্রাপ্তি সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ্য করা হয়েছে।
সিন্ডিকেট সভায় সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসি মো: আব্দুল লতিফ। এতে সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর আবু দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব-৩ সৈয়দা নওয়াবা জাহাদ এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সোহরাব আলী।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছিলেন অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেল।
শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে কাঁচি হাতে দেখা গেছে। ঘটনার আগে পরীক্ষার হলের সামনে তিনি একটি কাঁচি হাতে নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন।
এদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে স্থায়ী বহিস্কারের দাবী প্রশাসনিক ভবনে সামনে এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক ডলফিন জানান, "আমরা স্থায়ী বহিস্কার দাবী করে আসছি। অথচ সাময়িক বরখাস্ত করে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করাটা একটা যড়যন্ত্র মনে হচ্ছে। আমরা এখনও প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলন করছি। আন্দোলন চালিয়ে যাব।"
এদিকে, আমরণ অনশনে অংশ নেওয়াদের মধ্যে ৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার পর স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে বলেও দাবী করেন এই শিক্ষার্থী।