ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ধর্মঘট স্থগিত
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে গত ৪ দিন ধরে চলে আসা বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান, ট্রাক, প্রাইম মুভার পণ্যপরিবহন মালিক সমিতি'র ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার রাত আটটায় এই সংগঠনটির নেতারা সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এ বিষয়ে সংগঠনটির সভাপতি মকবুল আহমেদ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "আমরা ধর্মঘট স্থগিত করেছি আপাতত। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে আমরা বিজিএমই ও বিকেএমই'র সঙ্গে বসবো ভাড়া নির্ধারণের জন্য।"
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তারপুর সেতুর বর্ধিত টোল প্রত্যাহার দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, "বৈঠকে আমাদের বলা হয়েছে, অতিরিক্ত টোল আর নেওয়া হবে না।"
সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান, ট্রাক, প্রাইম মুভার পণ্যপরিবহন মালিক সমিতির নেতারা। এছাড়া বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আনিছুর রহমানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে থাকায় গত বুধবার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশে ডিজেল ও কেরোসিন লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এর প্রতিবাদে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয় গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহন ও লঞ্চ মালিকরা।
এরপর গতকাল রোববার দুপুরে গণপরিবহন ও লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে বাস ভাড়া ২৭%, লঞ্চ ভাড়া ৩৫% বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরপর ধর্মঘট থেকে সরে আসে এ দুটি যানবাহনের মালিকরা। তবে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতি'র সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে সোমবার পর্যন্ত কোনো আলোচনা হওয়ায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসেনি।
গত শুক্রবার থেকে পণ্য পরিবহন খাতের মালিকেরা তিনটি দাবিতে এ ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন। দাবিগুলো হল- জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তারপুর সেতুর বর্ধিত টোল প্রত্যাহার এবং দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলো কর্তৃক পণ্যপরিবহন যানের ওপর 'টোলের নামে চাঁদাবাজি' বন্ধ করা।