ডিজিটাল নিরাপত্তায় ৯৯৯ হেল্পলাইন যুক্ত করার দাবি মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের
দেশের সাড়ে ১১ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে দ্রুত নিরাপত্তা দিতে পুলিশের জনপ্রিয় সেবাদানকারী কল সেন্টার ৯৯৯ কে সংযুক্তির দাবি জানিয়েছে গ্রাহক অধিকার ও নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, "আমরা যেকোনো সময় নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে বা কেউ বিপদগ্রস্ত হলে ৯৯৯ এ ফোন করে দ্রুত সেবা পেয়ে থাকি। কিন্তু মুক্ত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের নাগরিকরা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি ও সাইবার ঝুঁকিতে পতিত হচ্ছে। এ থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পাবার মতো সেবা পাবার কোনো পদ্ধতি বা কলসেন্টার এখনো গড়ে উঠেনি। প্রতিনিয়ত সময়ের চাহিদার সঙ্গে ইন্টারনেটের ব্যবহার দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের পর ফ্রিফায়ার-পাবজি গেম বন্ধ ও স্কুল কলেজ খোলার পর অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রম অনেকাংশে কমে গেলেও এখনো ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার প্রায় আগের মতোই অর্থাৎ, প্রায় ২৬৪৬ জিবিপিএস ব্যবহৃত হচ্ছে। এ থেকেই অনুমেয় যে, ইন্টারনেট ছাড়া নাগরিক জীবন অচল।"
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, "কিছু দুষ্কৃতিকারী বা ইন্টারনেট অপব্যবহারকারী গ্রাহকদের ব্যক্তিগত আক্রমণ, সাইবার বুলিং, মিথ্যা অপপ্রচার, ব্যক্তিগত ভিডিও প্রচার, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে । যদিও আমাদের দেশে এ থেকে গ্রাহকদের নিরাপত্তা দিতে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। তাদের মধ্যে অন্যতম ডিবির সাইবার ক্রাইম ইউনিট, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি, বিটিআরসি, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর ডট , সিআইডি, পুলিশসহ সরকারি অন্যান্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত সংস্থা রপ। কিন্তু সবগুলো প্রতিষ্ঠানের একটি সুনির্দিষ্ট কমিটি না থাকায় গ্রাহকরা অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করেন। এমনকি অনেকেই ইতোমধ্যে বিটিআরসিকে প্রধান টার্গেট করে মহামান্য হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। দ্রুত সমাধান পেতে কোথায় ফোন করবে বা করা যাবে সেটি স্পষ্ট নয়। এ থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় পুলিশের দ্রুত সেবাদানকারী কল সেন্টার ৯৯৯ কে সমন্বয় করা। তারাই গ্রাহকের অভিযোগ শুনে নির্ধারণ করে দেবে এটির সমাধান কে করবে বা গ্রাহককে নিরাপত্তা দিতে কোন এজেন্সি বা কোন দপ্তর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, দ্রুত ডিজিটাল নিরাপত্তা দিতে পুলিশের কলসেন্টার ৯৯৯-কে যেন সকল সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়।"