নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারী নির্যাতনের ঘটনায় ১৩ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুরে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারসহ ১৩ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছে আদালত। একই সাথে অপর আসামী মোয়াজ্জেম হোসেন প্রকাশ ওরফে সোহাগ মেম্বারকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন শুনানি শেষে এ আদেশ প্রদান করেন। আসামীরা হচ্ছেন, নূর হোসেন বাদল, আবদুর রহিম, মো. আলী প্রকাশ আবুল কালাম, ইস্রাফিল হোসেন মিয়া, মাঈন উদ্দিন সাজু, সামছুদ্দিন সুমন, আবদুর রব চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান আরিফ, জামাল উদ্দিন, নূর হোসেন রাসেল, মিজানুর রহমান তারেক, আনোয়ার হোসেন সোহাগ ও দেলোয়ার হোসেন দেলু।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পি.পি) মামুনুর রশীদ লাভলু আদালতের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুনানিকালে চার্জশীটভুক্ত আসামীদের মধ্যে ৯জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামীদের মধ্যে চারজন পলাতক রয়েছে।
এর আগে, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর এ মামলায় ১৪ আসামীর বিরুদ্ধে পিবিআই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই বছরের ৫ অক্টোবর নির্যাতিতা নারী বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই নারীর আগের স্বামী তার সাথে দেখা করতে তার বাবার বাড়ী একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে এসে তাদের ঘরে ঢুকেন। বিষয়টি দেখে ফেলে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার। রাত ১০টার দিকে দেলোয়ার তার লোকজন নিয়ে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে পিটিয়ে নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে। গত ৪ অক্টোবর দুপুরে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলায় তথা দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এর আগে আবুল কালামের সহযোগিতায় গৃহবধূর বাড়ীতে ও বিলে নিয়ে নৌকার মধ্যে ওই গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করে দেলোয়ার। এ ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, পর্নোগ্রাফী ও ধর্ষণের ঘটনায় দেলোয়ারের বিরুদ্ধে মোট তিনটি মামলা দায়ের করেন। ৬ অক্টোবর ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দেলোয়ার ও আবুল কালামকে আসামী করা হয়।