ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে প্লাবিত লোকালয়, বন্যার শঙ্কা
সুনামগঞ্জে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে, যাতে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় লোকজন।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার বিকাল ৩টার দিকে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এছাড়া সীমান্ত নদী যাদুকাটার পানিও বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ১৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল এখনো অব্যাহত রয়েছে।
সুরমা নদীর পানি তীর উপচে সুনামগঞ্জ জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করেছে। বাসাবাড়িতেও পানি ঢুকে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা। এছাড়া রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও অনেকটা থমকে পড়েছে।
পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তাহিরপুর-আনোয়ারপুর সড়ক, লালপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক, ধারারগাঁও-সুনামগঞ্জ সড়ক প্লাবিত হয়ে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, ভারতের মেঘালয়- চেরাপুঞ্জিতে গত ৭২ ঘণ্টায় ৯০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ১৯০ মিলিমিটার বৃষ্টি এবং এর আগের ৭২ ঘণ্টায় ২৯৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এ কারণে সুরমা ও যাদুকাটা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এই বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে বন্যাপরিস্থিতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, "আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। মাঠ প্রশাসনকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এখনো বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি না হওয়ায় কোন কার্যক্রম নেওয়া হয়নি।"