রাসেলকে বাকি ৪০ লাখ টাকা দিতে গ্রিন লাইনকে প্রদত্ত আদেশ আপিলে স্থগিত
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/10/13/high_court_building_-_2.jpeg)
গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসচাপায় পা হারানো প্রাইভেট কার চালক রাসেলকে ক্ষতিপূরণের বাকি ৪০ লাখ টাকা দিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের জারিকৃত রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ দেন আপিল বিভাগ।
রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আদালতে গ্রিন লাইনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।
প্রসঙ্গত, রাসেলের পা হারানোর ঘটনায় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনজীবী উম্মে কুলসুমের দায়েরকৃত রিটের প্রেক্ষিতে ১২ মার্চ হাইকোর্ট এক আদেশে দুই সপ্তাহের মধ্যে রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা দিতে গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে এ-সংক্রান্ত একটি রুলও জারি করেন আদালত।
তবে হাইকোর্টের ১২ মার্চের আদেশ স্থগিত চেয়ে গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ আবেদন করেন। চেম্বার আদালত ১৪ মার্চ হাইকোটের আদেশটি স্থগিত করে শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান।
কিন্তু ৩১ মার্চ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের হাইকোর্টের আদেশটি বহাল রাখেন।
ফলে ১০ এপ্রিল রাসেল সরকারকে আদালতে দুই বিচারকের উপস্থিতিতে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লাখ টাকার একটি চেক হস্তান্তর করেন গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ। পরে তাকে আরও পাঁচ লাখ টাকা দেয় গ্রিন লাইন।
রাসেলকে বাকি যে ৪০ লাখ টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল, প্রতি মাসে ৫ লাখ টাকা করে মোট ৮ মাসে এ অংক শোধ করতে ২৫ জুন হাইকোর্ট আরেকটি আদেশ দেন। ওই আদেশে গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষকে আরও বলা হয়, তারা প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে ৫ লাখ টাকা করে তুলে দেবেন রাসেলের হাতে।
হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে পরে আপিল করেন গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে রোববার রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত টাকা প্রদানের আদেশে স্থগিতাদেশ দেন আপিল বিভাগ।
যেভাবে পা হারান রাসেল
রাসেল সরকার একটি প্রতিষ্ঠানের ভাড়া গাড়ি চালাতেন। ২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল কেরানীগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফেরার পথে যাত্রাবাড়ীর হানিফ উড়ালসড়কে গ্রিন লাইন পরিবহনের একটি বাস তার গাড়িকে ধাক্কা দেয়। তাই গাড়ি থামিয়ে বাসের সামনে গিয়ে বাসচালককে নামতে বলেন তিনি। বাসচালকের সঙ্গে তার বেশ বাকবিতণ্ডা হয়। ফলে বাসচালক রেগে গিয়ে বাসটি চালিয়ে দেন।
এতে রাসেল সরতে গেলে উড়ালসড়কের রেলিংয়ে আটকে যান। তার পায়ের ওপর দিয়ে বাস চলে যায়।
এরপর অস্ত্রোপচার করে তার বাঁ পা কেটে ফেলা হয়। এ ঘটনায় রাসেল সরকারের বড় ভাই আরিফ সরকার বাসচালক কবির মিয়ার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন।