শুক্রবার থেকে দেশব্যাপী ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন
করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে কাল শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে দেশজুড়ে শুরু হবে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন।
আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যতীত সর্বাত্মক লকডাউনে বন্ধ থাকবে দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস।
এ সময় সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহন, অভ্যন্তরীণ উড়োজাহাজসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে সব শপিংমল এবং মার্কেটও।
ইতোমধ্যেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এ বছরের বিধি-নিষেধ আগের বারের চেয়ে কঠিন হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনীও।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, "এবারের লকডাউন আগের বারের চেয়েও কঠোর হবে,"
তবে আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন-কৃষি পণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন/বিক্রয়, ত্রাপ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদান কার্যক্রম, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলী, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবা, ব্যাংক, ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা (পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, সড়কের বাতি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কার্যক্রম), সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, ফার্মেসি ও ফার্সাসিউটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি/অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবে।
এর আগে, ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করার ঘোষণা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
গতকাল ঈদের দিন কোভিডজনিত কারণে দেশে ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়। বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত হয় ৭.৬১৪ জন।
গত দুই সপ্তাহ ধরেই অল্প কয়েকদিন ছাড়া প্রতিদিনই করোনায় দেশে দৈনিক ২০০'র বেশি মানুষ মারা যান। দৈনিক শনাক্তের সংখ্যাও ছিল ১১ হাজারের বেশি। গত ১৯ জুলাই দেশে দৈনিক হিসাবে সর্বোচ্চ ২৩১ জন মারা যান। সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা ১৩,৭৬৮ রেকর্ড হয় গত ১২ জুলাই।