ঈদে এবার স্বস্তির যাত্রা, জনমানবশূন্য ফেরিঘাট
পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার শুরু হয়েছে অল্প কিছুদিন আগেই। ফলে শিমুলিয়া ঘাটের চিত্র পরিবর্তন হয়ে গেছে, নেই কোলাহল, বরং অনেকটাই স্তব্ধতা। অলস সময় কাটাচ্ছে ফেরি ক্যামেলিয়া-কুঞ্জলতা কিংবা ফেরি ফরিদপুর।
ফরিদপুর টেকেরহাট থেকে আসা সগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, 'আজ দেড় ঘণ্টায় ফরিদপুর থেকে পদ্মা সেতু হইয়া মাওয়া এ পারে আসছি, যাব মুন্সিগঞ্জ হইয়া ঢাকা। আগে ওই (বাংলাবাজার) পারে আসতে ঘাটে অপেক্ষা করতে হতো। লঞ্চ কখন পাবো বা ফেরিতে আসতে পারবো কিনা! রাত হলে তো সমস্যা আরো লেগে থাকতো। আজ মাত্র পদ্মা সেতু পার হইছি, ১০ মিনিটে ঢাকা চলে যাব। খুব ভালো লাগলো। ঈদ ঢাকাতেই করব।'
মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ফাহাদ যাবে বরিশাল। তিনি বলেন, 'মাদ্রাসা ছুটি হয়ে গেছে। বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। তবে আমার অন্যান্য বন্ধুবান্ধবরা চলে গেছে, ইতিমধ্যেই শুনেছি ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগে পদ্মা সেতু পার হতে, আর বরিশাল যেতে সময় লাগবে ৪ ঘণ্টা।'
পিরোজপুর থেকে আসা ফকিরশাহ বলেন, 'ঈদ করব নারায়ণগঞ্জে তাই আসা। আগেও আসছি। আগে ওই পারে বসে থাকতে হতো সন্ধ্যা পর্যন্ত। অনেক সময় ঘাটেই রাত পার করতে হয়েছে। আজকে তো এই পারে চলে আসছি দুপুরে। হয়তো বাড়ি যেতে আর লাগবে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। ভালো লাগছে খুব। সরকারকে ধন্যবাদ।'
তিন নম্বর রো রো ফেরিঘাটের পাশে পদ্মা রেস্টুরেন্টের মালিক নিজাম জানান, 'গেল রোজার ঈদে ৭ দিন আগেই এ ঘাটে প্রচুর চাপ ছিল। এখন ঘাটে কেউ আসে না। দুয়েকটা হোন্ডা (বাইক) আসে পারাপারের জন্য। ঘাটের মধ্যে ফেরিগুলো বইসা আছে।'
শরীয়তপুর পরিবহনের চালক রহিম মোল্লা বলেন, 'আমি বাস চালাই দীর্ঘদিন ধইরা। আগে মাওয়া ঘাট পর্যন্ত কাটা সার্ভিস ছিল। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এখন ওই পাড়ে যাই। আসতে যাইতে বেশি সময় লাগেনা। আগে তো যাত্রীরা অপেক্ষায় থাকতো লঞ্চের জন্য। ফেরিত পার হইত। ভোগান্তির শেষ ছিল না। এখন সময় কম লাগে, ভাড়াও কম।'