ওয়েবসাইট থেকে সরকারি কর্মচারীদের ইএফটির তালিকা নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড থেকে কর্মরত এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা, শিক্ষাবৃত্তিসহ অন্যান্য অনুদানের অর্থ ব্যাংক হিসাবে ইএফটির মাধ্যমে পাঠানো হয়। এই ইএফটির তালিকা কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
ওয়েবসাইটের এই ইএফটির তালিকার তথ্য নিয়ে ফোন করে বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারী পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করেছে একটি চক্র। তারা আর্থিক সহায়তা পেতে সহযোগিতার কথা বলে আবেদনকারীর কাছ থেকে তাদের ব্যাংকের ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড নম্বর এবং সিভিসি/সিভিভি নম্বর সংগ্রহ করে অর্থ আত্মসাত করে।
সম্প্রতি এই অর্থ আত্মসাৎ চক্রের মূলহোতাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত শনিবার মাদারীপুরের শিবচর থেকে তাদের গ্রেপ্তারের পর রবিবার সিআইডি হেডকোয়াটার্সে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় তারা।
এসময় সংস্থাটির সাইবার পুলিশ সেন্টারের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রেজাউল মাসুদ বলেন, চক্রটি এসব কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে অবৈধ ট্রানজেকশন করতে চাইলে রিয়েল টাইমে ব্যাংকের সার্ভার থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওটিপি গ্রাহকের মোবাইলে চলে আসে। তখন চক্রটি বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ভুয়া পরিচয় দিয়ে গ্রাহকের সঙ্গে ফোনে কথা বলে জানায়, 'ব্যাংক থেকে আপনার কাছে আপনার আবেদন করা সিরিয়াল নম্বর পাঠানো হয়েছে। ওই নম্বরটি আমাদেরকে জানান।'
তিনি বলেন, আসলে ওই নম্বরটিই ট্রানজেকশনের স্বয়ংক্রিয় ওটিপি, যা ব্যবহার করে প্রতারকরা ওই গ্রাহকের ডেবিট, ক্রেডিট কার্ডের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়ে লেনদেনটি সম্পন্ন করে থাকে।
সিআইডির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ইসমাইল মাতুব্বর ওরফে আসিফ ইকবাল জানান, তিনি তার অন্য সহযোগীদের যোগসাজশে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড থেকে অনুদানের অর্থ আবেদনকারীদের (সরকারি কর্মচারী) কাছ থেকে প্রায় এক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এছাড়া আগেও বিভিন্ন প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইকবাল গ্রেপ্তার হয়। পরে জামিনে বের হয়ে একই ধরনের কাজ করে।