ইভিএম নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: ইসি
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কোনো রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য করার এখতিয়ার ইসির নেই এবং তারা এ ধরনের কোনো পদক্ষেপও নেবে না।
সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এ পর্যবেক্ষণ জারি করেন। গণমাধ্যমকে এ খবর জানিয়েছেন ইসির যুগ্ম সচিব (জনসংযোগ পরিচালক) এসএম আসাদুজ্জামান।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নির্বাচনের সময় সেনা মোতায়েনকে 'যৌক্তিক' বলেও উল্লেখ করেছে ইসি।
ইসির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপে উত্থাপিত প্রস্তাব পর্যালোচনা করে এসব পর্যবেক্ষণ এসেছে।
আসাদুজ্জামান বলেন, ইভিএম নিয়ে পূর্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালা, মতবিনিময় ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে কমিশন ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
ইসি মনে করে, ইভিএম ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ইতিবাচক ও নেতিবাচক মতামত রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে ইসি তাদের সিদ্ধান্ত যথাসময়ে জানাবে বলে যোগ করেন তিনি।
গত জুলাইয়ে মোট ৩৯টির মধ্যে ২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করে ইসি। নয়টি রাজনৈতিক দল সংলাপ বয়কট করেছে। সেপ্টেম্বরে বাকি দুই দলের সঙ্গে সংলাপ করবে ইসি।
নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব এবং নির্বাচনকালীন সময়ে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠাকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করে ইসি। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে ইসির অধীনে আনার বিষয়টিও সংবিধানের আলোকে বিবেচনা করতে হবে বলে ইসি জানিয়েছে।
আগামী নির্বাচনে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি নিজস্ব কর্মকর্তা ও অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তাদের রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে ইসি।
সব প্রার্থীর নির্বাচনী বক্তৃতা দেওয়ার জন্য একই প্ল্যাটফর্ম প্রবর্তনের ধারণা, নতুন প্রচার ব্যবস্থা প্রবর্তন, নির্দিষ্ট এলাকায় নির্বাচনী পোস্টার সাঁটানোকে ইসি আধুনিক বলে অভিহিত করেছে কারণ এগুলো প্রচারণার খরচ কমাতে এবং নির্বাচনী সহিংসতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
ইউটিলিটি বিল না দেওয়ায় প্রার্থী হওয়ার জন্য অযোগ্য ঘোষণার প্রস্তাবকে যৌক্তিক করার বিষয়টিও বিবেচনা করবে ইসি।