চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পেনাংয়ে যাওয়া কন্টেইনারে মৃতদেহ উদ্ধার
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালয়েশিয়ার পেনাং বন্দরে পৌঁছানো এক কন্টেইনারে একটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। কন্টেইনারটি পেনাং বন্দরে পৌঁছার ৯ দিন আগে অর্থাৎ ৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পেনাং বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে যায় বলে ওয়ার্ল্ড অফ বাজ ডট কমের রিপোর্টে জানা গেছে।
মনে করা হচ্ছে কয়েকদিন ধরে মৃতদেহটি কন্টেইনারে আটকে ছিল। কন্টেইনারে মৃতদেহের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা হয়েছে।
সেখানে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন, "আমি যে কারখানায় কাজ করতাম, সেখানে আমাদের সহকর্মীরা মজা করার জন্য আমাদের কন্টেইনারে আটকে রাখত।"
আবার কেউ কেউ ভাবছেন এটি মানব পাচারের ঘটনা হতে পারে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোঃ ওমর ফরুকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "বিষয়টি নিয়ে আমরা এখনো অবগত নই। এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে কিনা খোঁজ নিয়ে দেখছি।"
তবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বিভিন্ন বন্দরে যাওয়া কন্টেইনারে লোকজন উদ্ধারের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৬ সালে ভারতের বিশাখাপত্তম বন্দরে একটি খালি কন্টেইনার থেকে মোহাম্মদ রোহান হোসেন (৩০) নামে এক যুবককে উদ্ধার করেছিলো সেখানকার পুলিশ।
২০১৭ সালে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সিঙ্গাপুরগামী একটি জাহাজে কন্টেইনার বোঝাই করার সময় বাবুল ত্রিপুর নামে কেডিএস কন্টেইনার ডিপোর এক শ্রমিককে কন্টেইনারের ভেতর থেকে উদ্ধার করেছিলো বন্দরের নিরাপত্তা কর্মীরা।
২০১১ সালে গাঁজা সেবনের পর ঘুমানোর জন্য সহকর্মী আল আমীনকে নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে রাখা একটি খালি কন্টেইনারে ঢুকেছিলেন দ্বীন ইসলাম। ১ এপ্রিল তাদের নিয়েই হানসা কালেডো নামের একটি জাহাজ সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করে।
এর পাঁচদিন পর জাহাজটি সিঙ্গাপুর বন্দরে পৌঁছায়। কন্টেইনারটি আরো পাঁচ দিন ওই বন্দরে পড়ে থাকার পর বন্দরের পাসিং পানজার টার্মিনালের কর্মীরা আল আমীনের মরদেহ পায়, তবে দ্বীন ইসলামকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।