১২০০ মার্চেন্ট নিয়ে মতিঝিলে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ এর যাত্রা
রাজধানীর মতিঝিলে ডাব, ঝালমুড়ি বিক্রেতা ও মুচিসহ প্রায় ১২০০ মার্চেন্ট নিয়ে ক্যাশলেস বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছে।
আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যাশলেস সর্বজনীন বাংলা কিউআর ভিত্তিক লেনদেনের এই উদ্যোগের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। প্রথমে ১০টি ব্যাংক, তিনটি এমএফএস (মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস) ও তিনটি আন্তর্জাতিক পেমেন্ট স্কিম অংশগ্রহণ করেছে এতে।
বাংলা কিউআর কোডে বাংলাদেশ ব্যাংকের সমন্বয়ে এ উদ্যোগে যেসব ব্যাংক যুক্ত হয়েছে তা হলো: ডাচ বাংলা ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, পূবালী ব্যাংক ও ওয়ান ব্যাংক। এছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠান বিকাশ, এমক্যাশ, রকেট ও কার্ড সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান মাস্টারকার্ড, ভিসা ও অ্যামেক্স এ সেবায় যুক্ত হয়েছে।
ক্যাশলেস সেবা নিতে বা পেতে শুধুমাত্র একটা ব্যাংকের অ্যাপ থাকলেই চলবে। অ্যাপে বাংলা কিউআর কোডের মাধ্যমে সব ব্যাংকের গ্রাহক পণ্যের মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। এছাড়া বিকাশ, এমক্যাশ, রকেটের মতো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের অ্যাপ দিয়েও পণ্যের মূল্য পরিশোধ করা যাবে।
মতিঝিল সেনা কল্যাণ ভবনের সামনের ফুটপাতে জুতা পলিশ করছিলেন শাপলা। তিনি টিবিএসকে বলেন, "এখন কী সহজ পদ্ধতি, জুতা কালি করলেই টাকা মোবাইলে চলে আসে! আজ একজন এই অ্যাপের মাধ্যমে ত্রিশ টাকা পরিশোধ করেছে।"
"আগে কালি করার পর বড় নোট দিলে খুচরা পেতে ঝামেলা তৈরি হতো। এখন সহজেই টাকা পেয়ে যাচ্ছি।"
পাশের জুতা পলিশের দোকানদার রাকেশ বলেন, "অনেক সময় জুতা কালি করার পরে ভাংতি নাই বলে টাকা পরে দিবে বলে কাস্টমার চলে যেত। এই টাকা আর কোনো দিনই পাইতাম না। এখন মোবাইলে টাকা দেওয়ার সিস্টেম হওয়াতে ভালো হইছে। আর ভাংতির ঝামেলা নাই। এখন পর্যন্ত ২৮৯ টাকা মোবাইল পেমেন্ট পাইছি।"
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, "এতদিন একটি ব্যাংকের কিউআর কোডে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের গ্রাহক পেমেন্ট করতে পারত। এখন এক ব্যাংকের কিউআর কোড থাকলে যেকোনো ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন করা যাবে।"
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, "ধরুন চা দোকানির ইসলামী ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট আছে। ওই দোকানদার তো ইসলামী ব্যাংকের কিউআর কোড দেবেন। এখন আপনি চা বিস্কুট খেয়ে বিল দেবেন। কিন্তু আপনার অ্যাকাউন্ট ডাচ বাংলা ব্যাংকে। এখন কী করবেন? এটার সমাধান দেবে সর্বজনীন বাংলা কিউআর কোড। এখান থেকে যেকোনো ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন করতে পারবেন। অর্থাৎ দোকানদারকে তার চায়ের বিল ডাচ-বাংলা কিউআর কোডে সরাসরি পরিশোধ করতে পারবেন।"